ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রার্থীদের মধ্য থেকে ঋণ খেলাপিদের শনাক্ত করতেই সব রিটার্নিং কর্মকতার কাছে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর অতিরিক্ত পরিচালক মো. আনিচুর রহমান। এর আগে, ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন।
চিঠির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের ঋণ খেলাপ সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের লক্ষ্যে সব প্রার্থীর পূর্ণনাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, স্বামীর নাম (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) বাংলা ও ইংরেজিতে, জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর, করদাতা শনাক্তকরণ সংখ্যা (টিআইএন), জন্ম তারিখ, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা সম্বলিত তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী যথাযথভাবে পূরণ করে রিটার্নিং অফিসার অথবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নামসহ সিল, স্বাক্ষর ও ফোন (মোবাইল) নম্বর যুক্ত করে ই-মেইল এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে প্রেরণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এই ধাপের নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময় শেষ হয়েছে আজ বিকেল ৪টায়। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত ১৫০টি উপজেলায় মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১ হাজার ৮৯১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬৯৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭২৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৭১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
তপসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র বাছাই আগামী ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত, যা নিষ্পত্তি হবে ২১ এপ্রিলে। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৩ এপ্রিল।
প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন জেলা প্রশাসক।