ঈদের পর এক এক করে ছয়দিন কেটে গেলেও এখনো স্বরূপে ফেরেনি রাজধানী। পরিবহন ও মানুষের চাপ কম থাকায় ঢাকার অধিকাংশ ব্যস্ত রাস্তাগুলো এখনো প্রায় ফাঁকা। ফলে ঢাকা মহানগরীর এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে যানজটের ধকল সইতে হচ্ছে না।
শনিবার (১৬ জুলাই) রামপুরা, বাড্ডা, মালিবাগ, কাকরাইল, পল্টন, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মানিকনগর, বাসাবো, শাহবাগ, ফার্মগেট, মিরপুর, শ্যামলী, গাবতলীসহ ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
প্রতিনিয়ত যানজট লেগে থাকে রাজধানীর এমন অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম রামপুরা ও বাড্ডা। তবে এ অঞ্চলের রাস্তাগুলো এখনো প্রায় ফাঁকা রয়েছে। রাস্তায় মানুষের যেমন চাপ নেই, তেমনি গণপরিবহনেরও চাপ নেই। গণপরিবহনের তুলনায় এ অঞ্চলে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা চলাচল বেশি করতে দেখা গেছে।
রামপুরায় কথা হয় তুরাগ পরিবহনের সুপারভাইজার মো. ইদ্রিস মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা বুধবার থেকে গাড়ি বের করছি। ঈদের পর এখনো পর্যন্ত কোন যানজট পাইনি। রামপুরা, বাড্ডা, এয়ারপোর্ট সব অঞ্চলের রাস্তায় ফাঁকা রয়েছে। কোথাও কোন যানজটে পড়তে হচ্ছে না। রাস্তায় গাড়ি যেমন কম, তেমনি যাত্রীও কম।
পল্টন মোড়ে কথা হয় ভিক্টর পরিবহনের চালক আমিনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ঈদের পর আজ নিয়ে চার দিন গাড়ি চালাচ্ছি। আগের তিন দিনের মতো আজও রাস্তা বেশ ফাঁকা। কোথাও যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে না। এমন রাস্তায় গাড়ি চালাতে অন্যরকম মজা।
এদিকে রাস্তায় গণপরিবহনের চাপ কম থাকলেও কোনো কোনো অঞ্চলে যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ছেড়ে আসা গণপরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া আদায় করছেন।
সদরঘাট, গুলিস্তান অঞ্চল ঘুরে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রায় সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত গাড়ির হাল্কা চাপ দেখা গেছে। তবে গুলিস্তান, বাবুবাজার মোড় ফাঁকা দেখা গেছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে ছাড়া গণপরিবহনগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। মরিয়ম নামের একজন বলেন, ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহন গাজীপুর পর্যন্ত ১৫০ টাকা ভাড়া চাচ্ছে। অথচ এই রুটের ভাড়া ৮০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।