সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে এক গৃহবধূকে তার স্বামীর তিন সঙ্গী নির্জন জমিতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বর্শিজোড়া গ্রামের নূর উদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়া (২৪), সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার বড়গোল্লা গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে শাহীন আহমেদ (৩৯), একই উপজেলার রতনপুর গ্রামের আনর আলীর ছেলে মুহিবুর রহমান (৩৫)।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তেলিখাল বড় রামাইল এলাকায় এ গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার রাতেই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানাপুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বছরখানেক আগে পরিবারের অসম্মতিতে প্রেমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ভুক্তভোগী ওই নারী। তার স্বামী পেশায় একজন ট্রাকচালক। স্বামীর পরিচিত ট্রাকচালক মুহিবুর রহমান ও রুবেল মিয়ার সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিভিন্ন সময় ফোনে কথা হতো। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে ফুঁসলিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট শহর থেকে কোম্পানীগঞ্জে নিয়ে যায় মুহিব, রুবেল ও শাহীন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের তেলিখাল ইউনিয়নের তেলিখাল বড় রামাইল এলাকার অনাবাদি জমির ঝোপঝাড়ে নিয়ে গিয়ে ওই গৃহবধূকে এ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে কাটাখাল ব্রিজের উপর নিয়ে সিলেটগামী একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দিয়ে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর বুধবার রাতেই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত রুবেল মিয়াকে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর, শাহীন আহমেদকে কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ বুড়দেও ও মুহিবুর রহমানকে সিলেটের বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত।