গোপালগঞ্জ মৎস্য ও বীজ উৎপাদন খামার ব্যবস্থাপক তানজিলা আক্তার নিপার বিরুদ্ধে দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। খামারের কর্মচারীরা মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রানালয়ের সচিব বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন।
খামার কর্মচারী হাবিবুর রহমান, লিটন সিকদার ও সুমন মুন্সি কুরিয়ারযোগে একটি লিখিত অভিযোগ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর প্রেরণ করেন বলে জানা যায়। খামারটিকে রক্ষা করার জন্য উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছে এই খামার কর্মচারীরা।
অভিযোগে জানা গেছে, উক্ত খামারের ব্যবস্থাপক গোপনে মাছ বিক্রি করে এবং টেন্ডার বিহীন খামারের ভিতরে কয়েকটি ফলজ গাছ কেঁটে বিক্রি করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। যার কারনে খামার পুকুর পাড়ের ক্ষতি হয়েছে। খামারের ব্যবস্থাপক প্রায়ই গোপনে সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে মছের পোনা বিক্রি করে বলে অভিযোগ করেন তারা। গোপালগঞ্জ মৎস্য ও বীজ উৎপাদন খামারের দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে সরকারের রাজস্ব ক্ষতি সাধন থেকে রক্ষা করার আবেদন জানান খামার কর্মচারী ও গোপালগঞ্জবাসী।
এ ব্যাপারে খামার ব্যবস্থাপক তানজিলা আক্তার নিপার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য ও বীজ উৎপাদন কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈরাগী বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। তবে সরকারি খামার থেকে গাছ তিনি কাটতে পারেন না এবং গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নাই। মাছের পোনা গোপনে বিক্রি করার কোন সুযোগ নেই। যদি এভাবে বিক্রয় করা হয় সেটা অন্যায়।