সিলেটের গোলাপগঞ্জে ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ইটের আঘাতে আওয়ারুন নেছা (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলায় বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের ব্রিজের উপর এ ঘটনা ঘটে। মৃত আওয়ারুন নেছা (৬৫) উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালিকের স্ত্রী।
ঘটনায় অভিযুক্ত সুমন আহমদ (২৬) বাঘা সোনারটুল গ্রামের ওয়াজিদ আহমদের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিন (১৮) তার গাড়ি নিয়ে পরগনা বাজারে যাওয়ার পথে সড়কে গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে ময়লা পানি পথচারী সুমন আহমদের (২৬) শরীরে ছিটকে পড়ে৷ এ নিয়ে সুমন আহমদ ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ছমির উদ্দিনের মাঝে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনার পর পরদিন মঙ্গলবার আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে এখলাছপুর ব্রিজের উপর আবারও তাদের দেখা হয়। দেখা হওয়ার এক পর্যায়ে দুইজনই আবারও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং হাতাহাতি শুরু করেন।
এ সময় ছমির উদ্দিনের মা আওয়ারুন নেছা বাড়ি থেকে বের হয়ে ঝগড়া থামাতে গেলে সুমন আহমদের ছুড়া ইট আওয়ারুন নেছার বুকে লাগে। ইটের আঘাতে আওয়ারুন নেছা গুরুতর আহত হন। এ সময় আওয়ারুন নেছার আত্মীয়-স্বজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই ফয়জুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের সুরতালহাল রিপোর্ট তৈরী করার জন্য হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।