ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের উদ্যোগে ও একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইয়ুথ ইন শেপিং এজেন্ডা: বাংলাদেশ ২.০ আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের পক্ষে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফারজানা নাজনীন সেতু। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আব্দুল হান্নান, দি বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ব্যুরো চিফ সাংবাদিক শামসুদ্দিন ইলিয়াস, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন, শাহজাদা মোহম্মদ শামসুজ্জামান, ব্র্যাকের চট্টগ্রাম ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর এনামুল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের নির্বাহী প্রধান উৎপল বড়ুয়া।
এয়াড়াও একশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার মাসুদ পারভেজ অভি, একশনএইডের ইনস্পিরেটর সুইট খান, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের লোকাল রাইটস প্রোগ্রামের ম্যানেজার রিদওয়ানুল হাকিম রিয়াদ, সম্মেলনে চট্টগ্রামের বিভিন্ন যুব সংগঠনের ৩০০ জন যুব প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করেন ইয়ুথ ভয়েস ফর চেঞ্জ এর সদস্য মেহজাবিন মাহি। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সোহাইল উদ দোজা।
চট্টগ্রামের জলবায়ু পরিবর্তন, জলাবদ্ধতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিসহ নানা সমস্যা নিয়ে একটি নাটক ‘আমার চট্টগ্রাম আমার দায়িত্ব’ পরিবেশন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ আছে তারা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বিশ্বের উন্নত দেশগুলো থেকে বাজেট দাবি করতে হবে।
সিটি মেয়র জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের ঋতুগুলো হারিয়ে যাচ্ছে তাই তিনি বাজেট বরাদ্দকে সর্বোচ্চ সঠিক ব্যবহার করতে চান। এছাড়াও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে তিনি কাজ করতে আগ্রহী এবং যদি যুবরা নতুন সৃজনশীল আইডিয়া নেয়, তাহলে সিটি কর্পোরেশন সর্বোচ্চ সাপোর্ট করবে এবং তিনি বলেন এ শহর আমার এই শহরকে সুন্দর করার দয়িত্ব আমার তাই গাছ লাগানো এবং গ্রীন সিটি বাস্তবায়নে তিনি সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে আহŸান জানান। তিনি আরও বলেন চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রীন এবং স্বাস্থ্যকর নগরী গরতে যুবদের দায়ীত্ব পালন করতে হবে।
অতিথি বক্তব্যে সহকারী জেলা প্রশাসক সকলকে দল হিসেবে কাজ করতে আহ্বান জানান।
এছাড়াও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান জানান বেকারত্ব নিরসনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কম্পিউটার, ড্রাইভিং, সেলাইসহ আরো বিভিন্ন কোর্স পরিচালনা করছেন। সিটি কর্পোরেশন থেকে একটি বরাদ্দ দিলে তা বেকারদের বেকারত্ব নিরসনের জন্য ভালো হতো।
ব্র্যাকের ডিস্ট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর বলেন, ব্র্যাক তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম প্রয়োজন করছে যার জন্য তাদের তিনটি ট্রেনিং সেন্টার আছে এবং এখান থেকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয় এক্ষেত্রে এক্টিভিস্টারা চাইলে ব্র্যাকের সাথে কাজ করতে পারবেন।
এরপর পিছিয়ে পড়া ১৮জন নারী উদ্যোক্তাকে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের উদ্যোগে অতিথিগণের মাধ্যমে এক লক্ষ আশি হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয় এরপর যুব সংগঠনকে এবং দুইটি বেস্ট গ্রুপকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় পাঁচজন সেরা যুবককে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া বলেন, এই বছর সাড়ে তিন কোটি টাকা বাজেট বরাদ্ধ হয়েছিল ক্লাইমেট জাস্টিসের জন্য যা পরবর্তীতে আরো বাড়ানো উচিত, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যুব স্ট্যান্ডিং কমিটি করতে হবে এবং যুবদের নেতৃত্ব দানের সক্রিয় করা ও এ বিষয়ে ফলোআপ করা সকলে মিলে একসাথে কাজ করলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।