দূর্ঘটনা রোধে এবং সড়কে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে এবার চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো বসানো হয়েছে স্পিড ক্যামেরা। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে নগরের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বসানো হয়েছে এই স্পিড ক্যামেরা।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এক্সপ্রেসওয়েতে স্পীড ক্যামেরা স্থাপন করলেও অধিকাংশ যানবাহন চালকরাই জানেন না এই ক্যামেরা সম্পর্কে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গিয়ে দেখা যায়, যানবাহনগুলো চলছে আগের নিয়মেই। কিছুকিছু যানবাহন চালকরা ক্যামেরা সম্পর্কে জানলেও অধিকাংশ সিএনজি চালকরা কিছুই জানেন না।
আব্দুল হালিম একজন সিএনজি চালক জানান, ক্যামেরা সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। এছাড়া অতিরিক্ত গতির কারণে এখনো কোনো জরিমানা গুনতে হয়নি বলে জানান তিনি।
সিডিএ সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে গাড়ির গতি মনিটরিং করছে এই ক্যামেরা। প্রথম কিছুদিন পরীক্ষামূলক এই ক্যামেরা চললেও কিছুদিনের মধ্যে জরিমানা কার্যকর করা হবে।
জানা গেছে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোন যানবাহন নির্ধারিত গতির (ঘণ্টায় সর্ব্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার) বেশি চালালে এই ক্যামেরায় তা ধরা পড়বে। সেই সাথে বিআরটিএ ও ট্রাফিক পুলিশের মাধ্যমে যানবাহন চালককে জরিমানার আওতায় আনা হবে।
এ প্রসঙ্গে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, গাড়ির গতি সীমিত রাখতে ও দুর্ঘটনারোধে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে স্পিড ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পাইলট প্রকল্প হিসেবে আপাতত এই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে এটি কার্যকরের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইমতিয়াজ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্প হিসেবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে এই স্পিড ক্যামেরা বসিয়েছে। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো এই স্পিড ক্যামেরা বসানো হয়েছে। আপাতত পাইলট প্রকল্প হিসেবে পতেঙ্গাপ্রান্তে একটি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরবর্তীতে লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেডের উভয়পাশে ১০টি ক্যামেরা ও স্পিড সাইন বসানো হবে। যেখানে ক্যামেরা থাকবে তার একটু আগেই স্পিড সাইন থাকবে, চালকদের সতর্ক করতে এই সাইন বসানো হয়েছে।
গতবছরের ১৪ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি চট্টগ্রাম শহরের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সাড়ে নয় মাস পর গত ২৬ আগস্ট পরীক্ষামূলকভাবে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস চললেও পরবর্তীতে মোটরসাইকেলসহ সবধরনের যানবাহন চলাচল শুরু করে।
বায়ান্ন/এসএ
