৪ দফা দাবিতে সারাদেশে ন্যায় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস জেলা শাখা শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করে একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। তারা ক্লাস বন্ধন করে প্রতিদিন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনের রাস্তাটি বন্ধ করে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল এর সকল ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যানার ফেস্টুন প্লাকার্ড নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের প্রবেশ গেটের রাস্তা বন্ধ করে এক থেকে দেড় ঘন্টা সমাবেশ করছে। এতে চরম ভোগান্ত পড়ছে হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা।
এদিকে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ছাত্রছাত্রীরা জানাই আমাদের চার দফা না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমাদের ক্লাস বর্জন অব্যাহত থাকবে। আমরা প্রতিদিন আমাদের গেটের সামনে সমাবেশ চালিয়ে যাব, এটা অবশ্য তারা দাবি করছে হাসপাতালের এক সাইডে রাস্তা আমরা খোলা রেখেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্ত সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালে প্রবেশের রাস্তার অধিকাংশই তারা দখল করে সমাবেশ করছে। বাকি রাস্তায় রিকশা ভ্যান অ্যাম্বুলেন্সের দীর্ঘ যানজটে ভোগান্ত পড়ছে সেবা নিতে আসা রোগীরা। মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল ম্যাটস এর ছাত্রছাত্রীরা জানাই আমাদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ১.ইন্টারশীপ বহাল রেখে অসঙ্গতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে।
২. এ্যলাইড হেলথ বোর্ড বাতিল করে অবিলম্বে মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ নামে স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করতে হবে। ৩. কর্মসংস্থান সৃজন এবং দ্রুত নিয়োগ চাই। ৪. বঙ্গবন্ধুর পঞ্চম বার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী উচ্চ শিক্ষা প্রদান। এই দাবিগুলা সরকার না মানা পর্যন্ত আমরা ক্লাসে ফিরে যাব না এমন বিভিন্ন শ্লোগান দিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছে। সমাবেশ দাবি করেন বর্তমানে আমাদের কোন উচ্চ শিক্ষার সুযোগ নেই, অথচ সকল ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের উচ্চ শিক্ষার শুধু রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ম্যাটসের শিক্ষার্থীদের নিয়োগ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি ফরহাদ বলেন, আমরা গত বুধবার থেকে চারটি বিষয় নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছি, আজকে ৫ম দিন। গতকাল আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন ভবনে তালা লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ কথা বলেনি। আমরা দাবি আদায় না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাবো। প্রয়োজনে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।
এদিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের অধ্যক্ষ ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করছে সেগুলো যৌক্তিক। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি দাবি হচ্ছে, নিয়োগ কার্যক্রম। আমাকে শিক্ষার্থীরা গত বৃহস্পতিবার একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা আজকে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছে। সার্বিক বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।