ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১
পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক

চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর ব্রীজ ও ব্রীজ সংযোগ সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ

এম এস জিলানী আখনজী : | প্রকাশের সময় : সোমবার ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১২:৩৩:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার খোয়াই নদীর ব্রীজ
ও ব্রীজ সংযোগ সড়ক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রীজ ও ব্রীজ
সংযোক্ত সড়কটি দিয়ে সর্বদা অসংখ্য যানবাহন ও হাজার-হাজার পথচারী
আসা-যাওয়া করে। ইতোমধ্যে ব্রীজ সংযোগ সড়কের মুখে অল্প-অল্প করে বড় ধরনের
গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজ সংযোগ সড়কের মুখটি ভাঙার ফলে, যে
কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোন নজর নেই
বল্লেই চলে।

সরেজমিনে গিয়ে ব্রীজটির ভিত্তি প্রস্তর প্লেইটের লিখাতে দেখা যায়, এলজি
ইডির বাস্তবায়নে ৮’ই জানুয়ারী ২০০৪ ইংরেজী সালে, তৎকালীন সময়ের সাবেক
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী, বীর
প্রতীক লে: কর্নেল (অব:) আকবর হোসেন, রাজার বাজার থেকে বাসুল্লা বাজারে
যাতায়াতের স্বার্থে খোয়াই নদীর উপর ‘রাজার বাজার ব্রীজ’ ভিত্তি প্রস্তর
স্থাপনা করেন।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, চুনারুঘাট উপজেলা থেকে প্রায় ৫ থেকে ৭ কি: মি:
দক্ষিণে রাজার বাজার। সমগ্র চুনারুঘাট উপজেলাবাসীর সঙ্গে নদীর পূর্বপাড়
অর্থাৎ বাসুল্লাবাসীর যাতায়াতসহ যোগাযোগ সুবিধার্থে ২০০৬ইং সালের ১৮’ই
অক্টোবর এলজি ইডির বাস্তবায়নে আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের রাজার বাজার পয়েন্ট
থেকে অর্ধ কি:মি: পূর্বদিকে রাজার বাজার সরকারী স্কুল ঘেঁষে (রাজার
বাজার-বাসুল্লা বাজার সড়ক) রোডের ১২১ মি: ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটির
শুভ উদ্বোধন করেছিলেন, তৎকালীন সময়ের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ
ফয়সল।

ব্রীজটি নির্মাণের পর থেকে এ পর্যন্ত কোন প্রকার সংস্কার না করায়, ব্রীজ
ও ব্রীজ সংযোগ সড়কের মুখ এবং পুরো সড়কের অবস্থা বর্তমানে অত্যান্ত
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনা করে নতুন করে
ব্রীজ ও ব্রীজটির মুখসহ সড়ক নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। খোয়াই নদীর উপর
অবস্থিত ঝুঁকিপূর্ণ এই ব্রীজ ও ব্রীজ সংযোগ সড়কের মুখ দীর্ঘদিন ধরে
সংস্কার না হওয়ার কারনে, এ যেন চলাচলরত পথচারী ও মানুষদের মাঝে আতঙ্ক হয়ে
দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময় পথচারী ও যানবাহনকারী যাত্রীরা ব্রীজ সংযোগ
সড়কটির মুখে উল্টে দুর্ঘটনার কবলে পরে কে? কখন? কীভাবে মারা যাবে তা নিয়ে
আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বদা সবার মনে। প্রতিদিন হাজার-হাজার লোকজন পারাপার
হয় এই ব্রীজ দিয়ে।

বাসুল্লাবাসীসহ খোয়াই নদীর পূর্বপাড়ের মানুষদের জন্য সর্ববৃহৎ হাট-বাজার
অবস্থিত চুনারুঘাট উপজেলা সদরে। এই ব্রীজ ও সড়কটি দিয়ে রাজার বাজার,
আমুরোড বাজার ও চুনারুঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারের হাটের বিভিন্ন
ব্যবসায়ীগন, মালামাল পরিবহনে যানবাহন ব্যবহার করতে ব্রীজ ও ব্রীজ সংযোগ
সড়কটির মুখের আতঙ্ক নিয়ে ভয় পাচ্ছেন। যানবাহন পারাপারের সময় ব্রীজটির
মুখে আসলেই ভয়ে থরথর করে সারা শরীল কেঁপে উঠে তাদের। তাই তড়িৎ গতিতে
ব্রীজ ও ব্রীজ সংযোগ সড়কটির মুখ নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে। অতচ
সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ নীরব ভূমিকা পালন করছে।

অপরদিকে একের পর এক বালু-খেকোদের ভারী যানবাহনে ধারন ক্ষমতার চেয়ে
কয়েকগুণ বেশি মালামাল লোড করে যাতায়াতের ফলে, খোয়াই নদীর ব্রীজ ও ব্রীজ
সংযোগ সড়কের মুখটি আরও নাজুক অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে। আবার অনেকেই বলছেন
দ্রুত গতিতে ব্রীজ ও ব্রীজটির মুখ সংস্কার না করা হলে, অল্প-অল্প করে
বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়ে সারা খোয়াই নদীর ব্রীজ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।