ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ জিম্মি হওয়ার ২৩ দিন পেরিয়ে গেছে। এখনো জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে জাহাজটির মালিকপক্ষ এবং জলদস্যুদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেননি তারা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) জাহাজটির মালিকপক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জাহাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠান কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। তবে আলোচনার অগ্রগতি হচ্ছে।
নাবিকদের স্বার্থ সুরক্ষাকারী সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, সমঝোতার পর মুক্তিপণ পরিশোধ, জাহাজটি কাছাকাছি নিরাপদ বন্দরে নেওয়া পর্যন্ত যেসব প্রক্রিয়া রয়েছে সেগুলো করতে এক থেকে দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এর আগে ২০১০ সালে জিম্মি হওয়া এমভি জাহান মণি মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। আশা করি, তার চেয়েও কম সময়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তি মিলবে।
এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি হওয়ার পর থেকে এ নিয়ে খোঁজখবর রাখছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, সমঝোতা নিয়ে আগে জাহাজটির মালিক পক্ষ এবং জলদস্যুদের মধ্যে যে দূরত্ব ছিল, সেটি কমে এসেছে। জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে অগ্রগতি বেশ ভালো।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।