জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় সোহাগী বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার পর তাঁর লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে নিহত গৃহবধূর বাবা লাল মিয়া বাদী হয়ে আক্কেলপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় গৃহবধূর স্বামীকে পলাশ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। পলাশের দাবি, শোবার ঘরের বাঁশের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার সকাল নয়টায় গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সোহাগী বেগম উপজেলার ছবদুলপাড়া গ্রামের কৃষক পলাশ হোসেনের স্ত্রী। তাঁর বাবার বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামে। সোহাগী বেগম দুই সন্তানের মা ছিলেন।
স্বজন ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে পলাশের সঙ্গে সোহাগীর বিয়ে হয়। তাঁদের নয় বছরের এক মেয়ে ও তিন বছরের এক ছেলে আছে। পলাশ কৃষিকাজের পাশাপাশি ব্যবসাও করেন। কয়েক বছর ধরে পলাশ নেশায় আসক্ত। তিনি প্রায়ই তাঁর স্ত্রীকে মারধর করতেন। গত শনিবার বিকেলে সোহাগী-পলাশ দম্পতির ছেলে বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে যায়। এ জন্য পলাশ তাঁর ছেলেকে মারধর করেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে পলাশ তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। এ ঘটনার জেরে গতকাল আবারও পলাশ তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। এরপর বিকেলে শোবার ঘরে সোহাগীর গলায় ওড়না প্যাঁচানো লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাত নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।সোহাগীর বাবা লাল মিয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমার মেয়েকে প্রায় দিনই মারধর করা হতো। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করেছি।’
আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মালেক বলেন, আজ সকাল নয়টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।