ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় ছোট ভাইয়ের লাঠির আঘাতে আহত বড় ভাই আবদুল মমিন (৪০) মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তবে ছোট ভাই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আবদুল মমিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেকবিন্নি গ্রামের বারি জোয়ারদারের ছেলে। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর পারিবারিক কলহের জেরে ছোট ভাই ও ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শামিম হোসেনের লাঠির আঘাতে আহত হন আবদুল মমিন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কৃষক আবদুল মমিন পারিবারিক কলহের কারণে স্ত্রীকে মারধর করছিলেন। সে সময় তাঁর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরলে ইউপি সদস্য শামিম হোসেনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে শামিম লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করলে মমিন আহত হন। তাঁকে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শামিম হোসেন বলেন, তার বড় ভাই স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইটের ওপর পড়ে গিয়ে আহত হন।
হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি আবু আজিফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।