সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে এখনো গড়ে ওঠেনি যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ট্যানারির কেমিক্যালযুক্ত তরল বর্জ্য পাইপ দিয়ে সরাসরি মিশছে ধলেশ্বরী নদীতে। কঠিন বর্জ্যও পরিশোধনের ব্যবস্থা নেই। ডাম্পিংয়ের জন্য যেখানে রাখা হচ্ছে তা সামান্য বৃষ্টিতেই গিয়ে পড়ছে সেই নদীতেই। তরল কিংবা কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যে সক্ষমতা থাকা দরকার তা নেই বিসিক ট্যানারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটের কমন ইনফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (সিইটিপি)। এতে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নানানভাবে ক্ষতির সম্মুখীন ট্যানারিগুলোও।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ট্যানারিগুলোর তরল বর্জ্য অপসারণে রয়েছে বড় বড় বেশ কিছু পাইপ। যেগুলো দিয়ে ট্যানারির কালো তরল বর্জ্য পড়ছে পাশের ধলেশ্বরী নদীতে। এই তরল কালো বর্জ্যের মধ্যে রয়েছে নানান ধরনের কেমিক্যাল।
শুধু কেমিক্যাল নয়, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনারও রয়েছে নানান সমস্যা। নদীর পাড়েই ডাম্পিং হচ্ছে কঠিন বর্জ্য। উন্মুক্ত স্থানে ফেলা এসব বর্জ্য বৃষ্টি হলেই গিয়ে পড়ছে নদীতে। কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেই সিইটিপির কাছে। ফলে অনেকটা অপরিকল্পিতভাবেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন চলছে সাভারের চামড়াশিল্প নগরীতে।
গ্লোরিয়াস ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের তাজিন করপোরেশনের মালিক আশিকুর রহমান বলেন, আমার ট্যানারিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রয়েছে। কিন্তু যেসব বর্জ্য ইটিপিতে যাওয়ার কথা সেগুলো আমাদের তারা বলে দুদিন সংরক্ষণ করতে হবে। এটা পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। কারণ নানান কেমিক্যাল থাকে পানিতে, যা খুবই বিপজ্জনক। বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। লবণ ও অ্যাসিডের কারণে আমাদের এসিগুলোই যেখানে পাল্টাতে হয় কয়েক বছর পর পর সেখানে ভবনের নিচে এমন বিপজ্জনক কেমিক্যাল সংরক্ষণ করলে ভবনেরও ক্ষতি হয়।