পৌষের শীতে কাঁপছে সিলেট। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এই জেলা। বেলা বাড়লেও দেখা মেলেনি সূর্যের। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে হিমেল হাওয়া।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ অবস্থা থাকতে পারে আরও দুদিন। এরপর আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়বে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বুধবার সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। তাই অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
আরও বলা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিনে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে। কুয়াশা বেশি থাকায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা না-ও পাওয়া যেতে পারে। ফলে শীতের অনুভূতিও বাড়তে পারে। আসন্ন শৈত্যপ্রবাহটি হতে পারে চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ।
আবহাওয়া অফিসের থেকে পাওয়া তথ্য মতে, শীতের হিমেল বাতাসের প্রবাহটি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে কুয়াশার পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। ফলে কুয়াশা ও শীত দুটিই আগামী কয়েক দিনে দ্রুত বাড়তে পারে। ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এই শীত থাকতে পারে।
এদিকে পৌষের সকালে ঘন কুয়াশার মধ্যে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মজীবীদের একাধিক গরম কাপড় গায়ে গায়ে জড়িয়ে বের হতে দেখা গেছে। সকালে সড়কে অনেক যানবাহন হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। ঠাণ্ডা বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে নগরীর সড়কগুলো অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা ফাঁকা ছিল।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো: আব্দুল মুঈদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরো জানান, আগামী ২ থেকে ৩ দিন এরকম ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে সিলেটে লোকজনের চলাচল অন্য দিনের তুলনায় কম লক্ষ্য করা গেছে। সড়কগুলোও কিছুটা ফাঁকা। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চাকুরীজীবিদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।