জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আরো এক বছর তিন মাস। কিন্তু এরই মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। আগামীতে কোন্ দল থেকে কে মনোনয়ন পাবেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। কোন্ এলাকায় কে এমপি নির্বাচিত হলে জনস্বার্থ প্রধান্য পাবে তা নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। এই আলোচনায় উঠে আসছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা। স্থান পেয়েছে নতুন নেতৃত্বের নাম।
সিলেট অঞ্চলও ওই আলোচনা থেকে পিছিয়ে নেই। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। এই আলোচনার মধ্য দিয়েই বের হয়ে আসছে জনবান্ধব প্রার্থীদের নাম।
সিলেটের সীমান্তবর্তী কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর নিয়ে সিলেট-৫ আসন গঠিত। এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এই আসনে আওয়ামী লীগসহ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় পার্টির একাধিক প্রার্থীর নাম আলোচনায় উঠে আসছে।
স্থানীয়রা আগামী সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৫ আসনে জনবান্ধব প্রার্থী কামনা করছেন। এই আলোচনায় স্থান পেয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী। স্থানীয় বিএনপির নেতারা বলেছেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী একজন কর্মী বান্ধব নেতা। জনস্বার্থকে গুরত্ব দেন আন্তরিকভাবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলে সিলেট-৪ আসনে মিফতাহ সিদ্দিকীকে প্রার্থী কামনা করেছেন তারা।
দলীয় সূত্র জানায় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের ছাত্র রাজনীতিতে নিজকে সম্পৃক্ত করেন মিফতাহ সিদ্দিকী। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে রাজপথ কাঁপিয়েছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। ১৯৯১ সালে এমসি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব লাভ করেন তিনি। এর পর ধারাবাহিকভাবে সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহŸায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলে পরপর দুইবার প্রতিনিধিত্ব করেন।
দলীয় সূত্র জানায়, ২০০২ সালে মিফতাহ সিদ্দিকী বিএনপিতে সম্পৃক্ত হন। ২০০৪ সালে মহানগর বিএনপির কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতায় অবতীর্ণ হন। এই কমিটির আহŸায়ক ছিলেন এম ইলিয়স আলী। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে বিএনপির ওই কাউন্সিল স্থগিত করা হয়। ২০০৭ সালে তিনি সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য মনোনিত হন। ২০১৪ সালে মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য হন। ২০১৬ সালের সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন মিফতাহ সিদ্দিকী। ২০২১ সালে গঠিত মহানগর বিএনপির আহŸায়ক কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব লাভ করেন তিনি। দায়িত্ব পেয়েই সিলেট মহানগরীতে বিএনপিকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছেন।
দলীয় সূত্র জানায়, মিফতাহ সিদ্দিকী কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে ইতোমধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। হামলা মামলায় জর্জিত নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি সাধ্যমত সহযোগিতা করে যান। অসহায় নেতাকর্মীর অন্যতম ভরসাস্থল হলেন মিফতাহ সিদ্দিকী।
দলীয় নেতা কর্মীরা জানিয়েছেন সামাজিক কর্মকান্ডে ইতোমধ্যে নজির স্থাপন করেছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। গত করোনা দুর্যোগের সময় তিনি অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গেছেন অবিরাম। করোনার সময়ে স্বাস্থ্য বিধির কারণে একাকী তিনি সিলেট মহনগরীতে চষে বেড়িয়েছেন। অসহায় কর্মহীন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীদের। করোনা আক্রান্ত মানুষের জন্যে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়েছেন। করোনা দুর্যোগের পুরো সময়টা তিনি নগরীর অলিগলিতে ছুটে গেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
গত ভয়াবহ বন্যার সময় অসহায় মানুষের পাশে ছুটে গিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মিফতাহ সিদ্দিকী। পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার করে পৌঁছে দিয়েছেন নিরাপদ স্থানে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন খাদ্য সহায়তা নিয়ে। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি ছুটে গেছে বন্যাকবলিত পুরো এলাকায়। এই নেতাকে নিয়ে এখন স্বপ্ন দেখছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
দৈনিক বায়ান্ন থেকে যোগাযোগ করা হয় বিএনপি নেতা মিফতাহ সিদ্দিকীর সাথে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে এলে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি মনোনয়ন চাইবেন। মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশ নেবেন।