ঢাকা, মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলে জনস্রোত

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৫ জুন ২০২২ ১১:১৭:০০ পূর্বাহ্ন | জাতীয়

 

 ভোর থেকেই কাঁঠালবাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে হাজার হাজার মানুষ এসে সমবেত হতে শুরু করেছে ৷ জনসভাস্থল ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরি ঘাটে এ জনসভার আয়োজন করা হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন।

শনিবার (২৫ জুন) ভোর থেকেই এ অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজার হাজার মানুষ জনসভাস্থলে সমবেত হওয়া শুরু করেছে। সকাল ৭টার দিকে হাজার হাজার মানুষ সভাস্থলে ঢুকতে শুরু করে।

অধিকাংশ মানুষই বিভিন্ন জেলার দূরদূরান্ত থেকে বাস-ট্রাক মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন ভরে সমাবেশে আসছি। এছাড়া লঞ্চ নৌকা দিয়ে নদী পথে আসছে হাজার হাজার মানুষ। বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক লঞ্চ নিয়ে জনসভাস্থলে হাজার হাজার মানুষ আসার কথা রয়েছে।  

বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে, ঢাকঢোল পিটিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ঘাট সংলগ্ন জনসভা মাঠে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।

খুলনার পাইকগাছা থানা থেকে এসেছেন রশিদ মিয়া। তিনি একজন আওয়ামী লীগ কর্মী।

রশিদ মিয়া জানান, পাইকগাছা থেকে আইসিটি বাস ও ১৫টি মাইক্রোবাস নিয়ে আওয়ামী লীগের ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ভোরে এসে কাঁঠালবাড়ি পৌঁছান।

এছাড়া খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট যশোর চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুর কুষ্টিয়া নড়াইল মাগুরা রাজবাড়ী ফরিদপুর থেকে শত শত বাস মাইক্রোবাস ট্রাক করে হাজার হাজার মানুষ জনসভাস্থলে আসছেন। কাঁঠালবাড়িতে সমাবেশে আসার পথে বিভিন্ন রাস্তায় ৭৮ কিলোমিটার দূর থেকে যানজট শুরু হয়ে যায়। বাস-ট্রাক দিয়ে আসতে না পেরে লোকজন পায়ে হেঁটে সমাবেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এদিকে পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করতে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া আসবেন। প্রথমে প্রধানমন্ত্রী সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে দুটি ফলক উন্মোচন করে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এ ফলকের একটিতে থাকবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এবং আরেকটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সেখানে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। এ সুধী সমাবেশে রাজনৈতিক নেতারা, মন্ত্রী, এমপি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, দেশি বিদেশি সাংবাদিক ও বিশিষ্ট নাগরিকরা উপস্থিত থাকবেন। সুধী সমাবেশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা উদ্বোধন করবেন। এরপর সেতুর ওপর দিয়ে সড়ক পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পৌঁছাবেন এবং সেখান নাম ফলক উন্মোচন করবেন। দুই প্রান্তে পদ্মাসেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরি ঘাটে সকাল সাড়ে ১১টায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।

এ জনসভায় ১০ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটানো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই জনসভায় অংশ নেবেন। শুধু তাই নয় সারা দেশ থেকেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এই জনসভায় যোগ দেবেন।

শুক্রবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে আসা শুরু হয়েছে।

এদিকে কাঁঠালবাড়ির জনসভাস্থল এর আশপাশের এলাকায় নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ৷ পুরো এলাকা জুড়ে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বত্রই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান রয়েছেন ৷ জনসভার মাঠে বড় বড় বেলুন রশিতে বেঁধে উড়ানো হয়েছে। মঞ্চ থেকে বাজানো হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর এতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ৷ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নাম মুহুর মুহুর বিভিন্ন স্লোগান উচ্চারিত হচ্ছে চারিদিকে।