ঢাকা, বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ই পৌষ ১৪৩১

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ

সনত চক্রবর্ত্তী, ফরিদপুর | প্রকাশের সময় : বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:০৭:০০ পূর্বাহ্ন | দেশের খবর

ফরিদপুরে নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে এক চিকিৎসকের ধাক্কা লাগার জেরে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। মারধরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহীন জোয়ার্দারের দুটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। শাহীন জোয়ার্দার ফরিদপুর শহরের কোমরপুর এলাকার বাসিন্দা।

অভিযুক্ত নার্সিং শিক্ষার্থীর নাম মো. মোত্তাকিম (২১)। মারধরের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠা এই মোত্তাকিম ফরিদপুরের বেসরকারি জেড এম প্রাইভেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে। তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্ন করছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহীন জোয়ার্দার হাসপাতালটির ট্রমা সেন্টার থেকে নিচে নামছিলেন। এ সময় মোত্তাকিম ওপরে উঠছিলেন। তখন অসাবধানতাবশত চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে মোত্তাকিমের। এ সময় উত্তপ্ত হয়ে মোত্তাকিমের জামার কলার ধরে চড়-থাপ্পড় মারেন চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে মোত্তাকিম তাঁর পরিচিত কয়েকজনকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে ফের গেলে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে চিকিৎসক শাহীন জোয়ার্দারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে তাঁর দুটি দাঁত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দিলরুবা জেবা বলেন, ‘শাহীন জোয়ার্দার শহরের একজন নামকরা চিকিৎসক। তাঁকে প্রকাশ্যে মারধরের ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

তিনি আরও বলেন,  ‘আমরা বিষয়টি ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্বাস্থ্য বিভাগকে লিখিতভাবে জানাব। এ ঘটনার পর থেকে আমরা চিকিৎসকেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’

কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় এনেছি। তাদের জিজ্ঞসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ