ভারতের ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারি হাইকমিশনারের অফিসে হামলা, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা, উগ্রবাদীদের আক্রমণে নিন্দা, ও হামলার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যান ফ্রন্ট জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরিদপুর প্রেস ক্লাব থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হলে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ফরিদপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক নিতাই রায় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখেন মহানগর কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট স্বাধীন সরকার, চৌধুরী বাড়ি দুর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি ননি গোপাল বিশ্বাস, এ সময় উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফন্টের সদস্য সচিব সুব্রত রবিদাস, ১২ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক আরিফ হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের যুগ্ন আহবায়ক জয় দাস, যুগ্ন আহবায়ক সঞ্জয় রায় যুগ্ন আহবায়ক, সুব্রত রায়, প্রমূখ।
এ সময় সংগঠনের অন্যান্য নেতা কর্মী এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বিগত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন শেখ হাসিনা দিল্লিতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। বক্তারা ভারতের আগরতলার ঘটনার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে দায়ী করে বলেন। ভারত কখনই বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। এ ঘটনায় নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
বক্তারা বলেন বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান আবহমান কাল ধরে একসাথে বসবাস করে আসছি। এখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজ করছে।
ভারতের কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একের পর এক অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এসব মিডিয়া বহিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা লিপ্ত রয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
বক্তারা বলেন ৫ ই আগস্টের পর থেকে দেশে নতুন করে আবার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গত ১৬ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন করা হয়েছে।
আগামীতে কখনোই এ ধরনের নির্যাতন বরদাস্ত করা হবে না। ভারতের আগ্রাসন এদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না। বক্তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএ