ফরিদপুর শহরে হুসাইন ব্যাপারী (১৩) নামে এক কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে শ্বাসরোধ করে করে হত্যার পরে অটোরিকশা ছিনতাই করে মরদেহ ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরের একটি মহিলা মাদরাসার পাশে ফেলে রাখা মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশের দলসহ সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
নিহত হুসাইন ব্যাপারী শহরের চর টেপাখোলা ব্যাপারীপাড়ার মৃত খোকা ব্যাপারীর ছেলে। মাত্র এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা গেছেন। তার মায়ের নাম শেফালী বেগম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, রিকশা নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল সে। রাতে বাড়িতে না ফেরায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। দড়ি দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে করে হত্যা করা হয়েছে হুসাইনকে। তার নাক দিয়ে ফেনিল জাতীয় কিছু এসে জমে রয়েছে।
হুসাইনের চাচাতো ভাই ওবায়দুর রহমান বলেন, তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল হোসাইন। বড় বোনগুলোর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে তার বাবা মারা যাওয়ার পর উপার্জনের অবলম্বন হিসেবে হুসাইনকে একটি নতুন রিকশা কিনে দেন আত্মীয়-স্বজনেরা।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সনাতন জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা চলছে। পুলিশের পাশাপাশি সিআইডির ক্রাইম সিনের টিম ঘটনা তদন্ত করছে। আশা করছি দ্রুতই জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ