বগুড়া সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে বগুড়া তাঁত বস্ত্র মেলায় রাত ৮ টার পরেও বিদ্যুত ব্যবহার করে প্রবেশ টিকিটের নামে অবৈধ লটারীর ড্র চলছে। নামে এটি প্রবেশ টিকিটের লটারী হলেও শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় বিক্রি করছে আয়োজকরা। ২০ টাকা মুল্যের এই প্রবেশ টিকিট প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে লাখ লাখ। ভ্রাম্যমানসহ প্রায় ৪শ’ পয়েন্টে অবৈধ লটারীর টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আর অবৈধ এই লটারীর পুরস্কারের প্রলোভনে পরে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বগুড়া কালেক্টরেট কর্মচারী কল্যাণ সমবায় সমিতি লিমিটেড, মটর শ্রমিক ইউনিয়ন ও সরকারী কর্মচারী পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ব্যানারে যৌথ ভাবে এই মেলা শুরু হয় ২৩ মে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে, মনিপুরী তাঁতি শিল্প জামদানি বেনাররসি ফাউন্ডেশন কল্যাণ ফাউন্ডেশন। তবে নাম সর্বস্ব এই মেলার মুখ্য বানিজ্য প্রবেশ টিকিটের নামে প্রতিদিনের অবৈধ লটারী। এই ড্র আবার সরাসরি ক্যাবল অপারেটর ও ফেসবুক পেজে সরাসরি প্রচার করে লোকজনকে প্রলুদ্ধ করা হয়।
বিদ্যুত ও জ¦ালনাী সাশ্রয়ে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ি বিপনী বিতান মার্কেটসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান(নির্দিষ্ট) রাত ৮টার পর বন্ধ থাকার কথা। তবে বগুড়া তাতঁবন্ত্র মেলায় এটি উপেক্ষা করা হচ্ছে। রাত ৮টার পর মেলার একাংশ লাইট বন্ধ থাকলেও আলোকসজ্জার কমতি থাকছে না। এরপর বিদ্যুত ব্যবহার করে মধ্যরাত পর্যন্ত লটারীর ড্র চলছে প্রতিদিন। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১০টায় যখন মেলার আলোকময় গেট দিয়ে লটারী বিক্রেতারা টিকিটের ড্রাম নিয়ে ড্র অনুষ্ঠানের জন্য একের পর এক সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করছিলেন। গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকা বগুড়ার উজগ্রামের রিক্সাচালক শফিকুল ক্ষোভ নিয়ে জানালেন, চারদিকে বান’র(বন্যা) মধ্যে বানের লাকান টিকিট বিক্রি হচ্ছে’ বান এলাকার লোকজনও বাদ যাচ্ছে না’। এধরনের ক্ষোভ এখন গোটা বগুড়ায়। তার পরেও চলছে গেট প্রবেশের অবৈধ লটারী গোটা, জেলায় বিক্রি কার্যক্রম। এর আগে অবৈধ লটারী নিয়ে বগুড়ার বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ ও জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হলেও মাত্র কয়েক দিন লটারী বন্ধ ছিলো। এর পর আবার তা শুরু হয়েছে। অবৈধ লটারী নিয়ে এতোপুর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
পুনরায় অবৈধ টিকেট চালু হয়েছে, রাত ৮ টার পর বিদ্যুত ব্যবহার নিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ জিয়াউল হক জানান এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি জেনে পদক্ষেপ নেয়া হবে।