সীতুকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল। দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তদন্ত শেষে আমরা বুধবার বিকেল ৪টায় তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেছি। কেন আগুন লেগেছে। এর কারণগুলো কী কী তা আমরা প্রতিবেদনে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছি। আগামীতে এ ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা যাতে রোধ করা যায় এ জন্য ২০টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
তিনি বলেন, এ দুর্ঘটনার জন্য অবশ্যই মালিক পক্ষের অবহেলা ছিল। ডিপোতে দক্ষ জনবলের অভাব ছিল। অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল দুর্বল। তিনি আরও বলেন, ২০টি সুপারিশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- কনটেইনার ডিপো বা অফ ডক নীতিমালাকে হালনাগাদ করতে বলেছি, কনটেইনার ডিপোগুলো পরিচালনায় ২৫টি প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিতে হয় এগুলো এক জায়গায় করতে বলেছি। শিল্প এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের পৃথক প্রশিক্ষিত জনবলের কথা উল্লেখ করেছি।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের গঠিত ৯ সদস্যের কমিটি বাকী সদস্যরা হলেন- পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. আবু নুর রাশেদ, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ১ ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম ও চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। কমিটিতে সদস্য সচিব রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে।