পাঁচ দিনের সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা আছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর থাইল্যান্ডে। ১৯৭২ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল থাইল্যান্ড।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন। সেখানে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এর আগে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর উপলক্ষে গত সপ্তাহে যৌথ বিবৃতি প্রচার করে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর বাংলাদেশের সরকারপ্রধান পর্যায়ে থাইল্যান্ডে এটি প্রথম সফর হবে। দুই বন্ধুদেশের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এই সফর।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২৬ এপ্রিল ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউসে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শীর্ষ বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন খাতে সহযোগিতা, শুল্কসংক্রান্ত পারস্পরিক সহযোগিতা-বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও মুক্ত বাণিজ্যসংক্রান্ত সম্মতিপত্র সইয়ের কথা রয়েছে।
জানা গেছে, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় এই সফরে ব্যাংককে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকের আগে ইউএনএসকাপের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি। ২৫ এপ্রিল বক্তৃতা দেবেন ইউএনএসকাপের অধিবেশনে। একইদিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং এসকাপের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
পাঁচ দিনের এই সফরে থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে দেশটির রাজা ভাজিরালংকর্ন ও রানি সুথিদার সঙ্গেও সাক্ষাৎ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলামের থাইল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে।