ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বৃটিশ নাগরিকদের গর্ব ছিলেন রানী: দৈনিক বায়ান্নকে কামরান

রিমা বেগম. সিলেট: | প্রকাশের সময় : শনিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৪:০০:০০ অপরাহ্ন | জাতীয়

বৃটিশ নাগরিকরা শোক কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। বৃটিশ নাগরিকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তিনি ছিলেন বৃটিশ নাগরিকদের ভালোবাসার প্রতীক, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। বৃটিশ নাগরিকরা গর্ব করতেন রানীকে নিয়ে। রানীর দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের পরিচয় তুলে ধরতে অনুভব করতেন গর্বের। এই রানীর মৃত্যুতে বৃটিশ নাগরিকদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে ক্ষতি সামাল দেয়া অনেক কষ্টের। প্রায় ১৫ দিন কেটে গেছে রানীর মৃত্যুর। কিন্তু দেশটির নাগরিকরা আজো শোকাহত। রানীর আত্মার শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করছেন অনেকে। 

 

দৈনিক বায়ান্নের কাছে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু ও দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা জানাচ্ছিলেন লন্ডনের কিংসটন শহরের ব্যবসায়ী ও সিলেটের শেরপুরের আল-সৈয়দ শপিং কমপ্লেক্সের মালিক সৈয়দ সাজিদ উদ্দিন কামরান।

 

সৈয়দ কামরান জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা কোনোভাবে স্বাভাবিক রাখা যাচ্ছে না। চারটি সেক্টরে বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। এই চারটি সেক্টর হচ্ছে পেট্রল, ডিজেল, গ্যাস ও বিদ্যুত। 

 

তিনি জানান যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতিমাসের বিদ্যুত বিল দিতে হতো ৫০ হাজার টাকার মতো। এখন ওই বিলের পরিমাণ দাড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। এই বিদ্যুত বিলের হিসেব দিয়ে অনুমান করা যায় পরিস্থিতি কতটুকু ভয়াবহ। যুদ্ধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে। পরিস্থিতি আরো খারাপও হতে পারে। 

 

সৈয়দ কামরান বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। হাজার হাজার ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এসব ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রীতিমত যুদ্ধ করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন বলে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালের শুরুতেই ওইসব ব্যবসায়ীরা চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

 

সৈয়দ কামরান বলেন. একটি দু:খজনক খবর হচ্ছে স্টুডেন্ট ভিসায় লন্ডনে যাওয়া বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ। প্রায় ৭৫ ভাগ শিক্ষার্থী তাদের টিউশন পরিশোধ করতে পারছেন না। ফলে তারা ক্লাসে যেতে পারছেন না। বাসস্থানের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় তারা আরো বিপাকে পড়েছেন। আগে ১০০ পাউন্ড দিয়ে একটি কক্ষ ভাড়া পাওয়া যেত। কিন্তু এখন সেই ভাড়ার পরিমাণ দাড়িয়েছে কমপক্ষে ৩০০ পাউন্ড। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে আছেন। অনেক শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে ওই দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে ২৫ ভাগ শিক্ষার্থী দেশটিতে টিকতে পারবেন। বাকিরা ওই দেশ ছাড়তে বাধ্য হবেন।