ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল বাতাস। কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। কুয়াশা কম থাকলেও হিমেল বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২০২৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার রেকর্ড দেখা যায়।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হালকা কুয়াশা ছড়ানো প্রকৃতিতে অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীতের তীব্রতা। ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার গতিতে বইছে বাতাস। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ঠিকমতো কাজে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিন মজুর থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ।
স্থানীয় হানিফ আলী, নাসিরসহ কয়েকজন বলেন, আজকে ভাই ঠান্ডাটা বেশি মনে হচ্ছে। আমরা তো তাপমাত্রা কত তা জানি না। কিন্তু সারারাত এতো ঠান্ডা পড়েছে লেপ আর কম্বল একসঙ্গে নিলেও ঠান্ডা কমাতে পারিনি।
গ্রামের এক নারী বলেন, রাতটা বরফ মনে হয়েছে আজ। প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে বিছানার সব আসবাবপত্র বরফ হয়ে ওঠে। ঘরের ফ্লোরে খালি পায়ে পা দেওয়া যায় না। ঘরে রাখা পানি বরফ হয়ে থাকে। পানি ধরলে হাত যেন অবশ হয়ে যায়।
জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ বলেন, মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে নেমেছে তাপমাত্রা। শুক্রবার সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রায় এ অঞ্চলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার রেকর্ড দেখা যায়।
বায়ান্ন/এসএ
