অসাধু ও অধিক মুনাফাভোগী ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহী জেলা কমিটি। এসময় আইনের নিষিদ্ধ খোলা ভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রয় বন্ধের পাশাপাশি বাজারকে ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বক্তারা বলেন, আমদানিকৃত পণ্য আলু, পেয়াজ, রসুন, মরিচ, ডিম ও চাল সরাসরি বাজারজাতকরণ না করে গুদামজাতকরণ করা হয়, যা বেআইনি। এসময় এই সিন্ডিকেট অতি দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।
সোমবার বেলা ১১টায় রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব রাজশাহীর উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম।
এসময় কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- ক্যাবের জেলা কমিটির উপদেষ্টা ও দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক মো. লিয়াকত আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুস সালাম আল-মাদানী, ক্যাবের জেলা কমিটির উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, ক্যাবের সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সালে মো. ফাত্তাহ, ক্যাব রাজশাহীর সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কবি অম্লান অনিরূদ্ধা, ক্যাব রাজশাহী ইয়ুথ শাখার সভাপতি জুলফিকার আলী, ক্যাবের সদস্য রওশন ইসলাম।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ক্যাব রাজশাহীর সহ-সভাপতি সুব্রত হেমব্রম, ক্যাব মোহনপুর উপজেলার সভাপতি রুবেল সরকার, ক্যাবের জেলা ও উপজেলা কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে ক্যাবের রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের ভেতর দিয়ে স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী ও অতি মুনাফালোভী বাজার সিন্ডিকেটকারিদের পতন হয়নি। তারা বহাল তবিয়তে আছে। এই চক্রের কারণে বাজারে আলু, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এই অসাধু চক্র ভেঙে দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, মানববন্ধনে আট দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হলো-
- অসাধু দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে;
- নিত্য পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে;
- বাজার অভিযান বৃদ্ধি করতে হবে;
- টিসিবির ট্রাক সেল বাড়াতে হবে;
- ভোজ্য তেল খোলা বাজারে বিক্রেতাদের কঠোর ভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে;
- ভোক্তা স্বার্থ দেখার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ বা কনজুমারস মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে;
- সরকার এক কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপণ্য দিচ্ছে এর সংখ্যা দেড় কোটি করতে হবে;
- আইনে নিষিদ্ধ থাকা বাজারে খোলা ভোজ্য তেল (ড্রামে) বিক্রেতাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে