রৌমারীতে রাস্তা সংস্কার না করায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচর, লাঠিয়ালডাঙ্গা, চরলাঠিয়ালডাঙ্গা, বকবান্দা, ঝাউবাড়ি, দুবলাবাড়ি ও বিক্রিবিলসহ প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ।
দীর্ঘদিন থেকে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হলেও টনক নড়েনি জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের। বর্তমানে ওই রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দূর্ভোগে পড়েছে কমলমতি স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থী, চাকুরীজিবি, অটোভেন, ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল আরোহী। বেকার হয়ে পড়েছেন এসব খেটে খাওয়া শ্রমিকরা। অপর দিকে পথচারিরা অতিকষ্টে কাঁদা রাস্তা দিয়ে যাতায়ত করছেন। বিপাকে পড়ছেন অসুস্থ রোগী, ব্যবসায়ী ও কৃষকগণ। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বিভিন্ন হাটবাজারের বিক্রির উদ্দ্যেশে নিতে না পাড়ায় ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। এনিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা সংস্কার ও পাঁকা করণের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সাড়ে ১১ টার দিকে সায়দাবাদ খেয়াঘাট বিক্রিবিল মাঠের ভিটা নামক স্থানে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ওই এলাকার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, শ্রমীক, ভেনচালক, অটোভ্যান চালকসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন। তারা জরুরীভাবে রাস্তা সংস্কার ও পাঁকা করণের দাবী জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মুকুল হোসেন, সুরুজ্জামান, ফজলুল হক, আমিনুল ইসলাম ও তছবিরুল ইসলামসহ অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে সায়দাবাদ নৌকাঘাট থেকে বিক্রিবিল রাবার ড্যাম্প হয়ে খেওয়ারচর পর্যন্ত অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানিতে কাদা জমে গেছে। রাস্তাটি দিয়ে ইটভাটার মাটিসহ মালবাহী কাকড়া (ট্রাক্টর) চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
স্থানীয় মুকুল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা প্রতিমন্ত্রী, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান পেয়েছি। কিন্তু রাস্তাঘাট পাইনি। তারা শুধু ভোটের আগে রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়নে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি ভরে দিয়ে ভোট নিয়ে যায়। ভোট পাওয়ার পর ভ‚লে যায় উন্নয়নের প্রতিশ্রæতির ফুলঝুড়ির কথা। বর্তমান সরকার মানবতার মা, উন্নয়নের রূপকার, তার কাছে আমাদের একটা দাবী, রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করে এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে, আগামি নির্বাচনে আপনি আবার নির্বাচিত হবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী জানান, রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। এবিষয়ে আমি মাসিক সমন্বয় সভায় তুলে ধরেছি এবং বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।