ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

লংলা রেলস্টেশন দুই মাস ধরে বন্ধ

নুর ইসলাম নাহিদ | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ৬ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৫৮:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন


কুলাউড়া প্রতিনিধি:

মাস্টার সংকটে দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার লংলা রেলস্টেশন। এ স্টেশনের দায়িত্বরত একমাত্র স্টেশনমাস্টারকে লংলা থেকে গত দুই মাস আগে সিলেটের মোগলাবাজার স্টেশনে বদলি করা হয়। এর পর থেকে স্টেশনটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়েছে সিলেট-ঢাকা ও চট্রগ্রামগামী আন্তঃনগর ট্রেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে মাস্টার সংকট রয়েছে। স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিতে বছরখানেক সময় লাগতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই মাস আগে স্টেশনের কর্তব্যরত মাস্টার রজত রায়কে সিলেটের মোগলাবাজার রেল স্টেশনে বদলি করে দেওয়ায় স্টেশনের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা।

স্থানীয়রা জানান, দুই মাস ধরে মাস্টারের অভাবে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। স্টেশন চালু থাকা অবস্থায় লোকাল মেইল ট্রেন স্টেশনে থামলে যাত্রীরা মালামাল নিয়ে অনায়াসে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারতেন। কিন্তু এখন স্টেশনটি বন্ধ থাকায় একমাত্র লোকাল মেইল ট্রেনটি মেইন লাইন দিয়ে এসেই হুইসেল দিয়ে চলে যায়। এতে অনেক যাত্রী  তাড়াহুড়ো করে উঠানামা করতে গিয়ে আহতও হন।

অপরদিকে, মাস্টার চলে যাওয়ার ফলে স্টেশনের ক্রসিং সিস্টেম বন্ধ করায় বর্তমানে ওয়ানওয়ে লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। সবচেয়ে বেশি ক্রসিং বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোকে। স্টেশন চালু থাকা অবস্থায় সিলেটমুখী যে কোনো ট্রেন শমশেরনগর স্টেশন থেকে ছেড়ে এলে এবং কুলাউড়া থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকা বা চট্টগ্রামমুখী যেকোনো ট্রেনকে মধ্যবর্তী লংলা স্টেশনে দাঁড় করিয়ে ক্রসিং দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শমশেরনগর স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা সিলেটমুখী যেকোনো ট্রেনকে কুলাউড়া রেলস্টেশনে অথবা কুলাউড়া রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকা বা চট্টগ্রামমুখী ট্রেনগুলোকে শমশেরনগর স্টেশনে ক্রসিং নিতে হয়। উভয় স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার। বর্তমানে ট্রেনগুলো বিলম্বে ছাড়ার কারণে প্রতিদিনই যাত্রীদের নানা ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সারাদেশেই বর্তমানে স্টেশন মাস্টার সংকট রয়েছে বলে দাবি করেন সিলেট-আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের পরিবহন পরিদর্শক (টিআই) তৌফিকুল আজিম।

তিনি বলেন, সিলেট-আখাউড়া সেকশনের অনেক স্টেশন মাস্টারের অভাবে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সরকার নতুন স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিচ্ছে। আশা করছি, বছরখানেকের মধ্যে মাস্টার সংকটের সমস্যা সমাধান হবে এবং লংলাসহ বন্ধ স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করা হবে।