ঢাকা, শুক্রবার ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭শে পৌষ ১৪৩১

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে সংসদ সদস্য পদে আলোচনায় নতুন মুখ কল্যাণ পার্টির ফরহাদ

মু.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ,লক্ষ্মীপুর । | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ ০৬:৩৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

 

লক্ষ্মীপুর -২(রায়পুর) আসনে আসন্ন জাতীয়  সংসদ নির্বাচনে এই আসনের নতুন মুখ বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ ফরহাদ ।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার সম্ভাবনা রয়েছে মোহাম্মদ ফরহাদের এই আসন থেকে  বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ব্যানারে । তিনি সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত রয়েছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়,  শিক্ষা জীবন থেকে তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিগত ৩বছর যাবৎ অসচ্ছল মানুষের মাঝে গোপণে সহযোগিতা করছেন । এলাকায় তিনি একজন পরোপকারী ও দানশীল হিসেবে পরিচিত।

মোহাম্মদ ফরহাদ, আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি  এবং সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি  ইংল্যান্ড শাখা। তিনি মাধ্যমিক গন্ডি পার করেন বিজয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়, উচ্চ মাধ্যমিক লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর লন্ডনে সম্পর্ণ করেন। মোহাম্মদ ফরহাদের গ্রামের বাড়ি ২নং দক্ষিন হামছাদী ইউনিয়ন এর আব্বাস আলী হাজি বাড়ি। তার চাচা সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সেমিল হাজী।

লক্ষ্মীপুর-২ আসনে আছে একটি পৌরসভা ও ১৯টি ইউনিয়ন।

সংসদ সদস্য প্রার্থী ফরহাদ ব্যক্তিগত জীবনে  বিবাহিত  এক ছেলে এক মেয়ের জনক। তিন ভাই দুই বোন। তিনি লন্ডনে সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা ও দেশে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃকতা রয়েছে ।ফাউন্ডার, ন্যাচারাল কোয়ালিটি ব্র্যান্ড এবং  MF গ্রুপস।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী (লন্ডন) আগামী জাতীয়  সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর -২ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি থেকে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে মোঃফরহাদ সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। ভোটারদের  প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি নির্বাচিত হলে সকল ইউনিয়নে মনোনয়ন বাণিজ্য, পরিবহনে চাঁদাবাজি, সরকারি অফিসগুলোতে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেন থাকবে না। লক্ষ্মীপুর-২ আসন মাদকমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবেন।এ ছাড়া সরকারি সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানি বন্ধ করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য যথাযথ উদ্যোগ ও টিআর কাবিখাসহ বিভিন্ন সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পও বরাদ্দের সর্বোত্তম ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ আসনে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। পরে দু'বারই তিনি উপ-নির্বাচনে আসনটি ছেড়ে দেন। এতে ৯৬ সালে বিএনপির প্রার্থী মওদুদ আহমেদকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ জয়ী হন। ২০০১ সালে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদকে হারিয়ে বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া জয়ী হন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও দলের টিকিটে আবুল খায়ের ভূঁইয়া দ্বিতীয়বারের মতো এমপি হন। সবশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটগত কারণে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জাতীয়পার্টির মোহাম্মদ নোমান এমপি নির্বাচিত হন।তার পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে নোমান সরে দাঁড়ালে কুয়েতে দন্ডপ্রাপ্ত পাপুল নির্বাচিত হন। কুয়েতের কারাগারে আটক থাকায় সংসদ সদস্য পদ খারিজ হলে মনোনয়ন পান আওয়ামীলীগের নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ।তিনি উপনির্বাচনে বিজয়ী হন।