ঢাকা, শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ই পৌষ ১৪৩১

শিবচরে কারখানা থেকে বিপুল পরিমান অনুমোদনহীন স্যালাইনসহ ভেজাল খাদ্য জব্দ, আটক-১

শিবচর(মাদারীপুর)প্রতিনিধি: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ২০ জুন ২০২৩ ১২:৪৭:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
 
মাদারীপুরের শিবচরে খাবার স্যালাইন ও শিশুখাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযানকালে বিএসটিআই এর অনুমোদনবিহীন ভেজাল স্যালাইন ও জুসসহ ৯ ধরনের বিপুল পরিমান খাদ্যজাত পন্যসহ উৎপাদনকারী মেশিনারিজ জব্দ করা হয়েছে। এসময় কারখানার ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ।
 
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সন্ন্যাসির গ্রামের মজিদ ফরাজির ছেলে রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বন্দরখোলা এলাকায় পপুলার ওয়ার্ল্ড ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেড নামের একটি কোম্পানী চালু করে দীর্ঘদিন ধরে শিশুখাদ্য হিসেবে পরিচিত আইসললি, আইসপপ, পপুলার গ্লাসজুস, কালারজুস, ম্যাংগোজুস, নুডুলস, পপুলার ডেইরি মিল্ক, পপুলার ওরাল স্যালাইন, ম্যাংগো সফট ড্রিংকস , পপুলার ডাব স্যালাইনসহ প্রায় ৪২ ধরনের শিশুখাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছে। এই কারখানায় উৎপাদিত পন্যের মধ্যে কিছু পন্যের অনুমোদন থাকলেও অধিকাংশ পন্যের নেই বিএসটিআই অনুমোদন। কারখানার ভিতরে নোংরা পরিবেশে এসকল খাদ্যপণ্যে তৈরি করছে শ্রমিকরা। এছাড়া শিশুখাদ্যে তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত রং। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) মো: আনিসুর রহমানের নের্তৃত্বে কোম্পানীটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানকালে বিপুল পরিমান ভেজাল শিশুখাদ্যসহ ভেজাল খাদ্যপন্য জব্দ করে পুলিশ। এসময় কোম্পানীটির ম্যানেজার সাদ্দাম মাতুব্বরকে আটক করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সাদ্দাম মাতব্বর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঘোষ গ্রামের আসলাম মাতুব্বরের ছেলে। সে এই কারখানার মালিক রফিকুল ইসলাম উজ্জলের শ্যালক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
 
 
শিবচর সার্কেল পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, আমরা অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান ভেজাল স্যালাইন, জুসসহ বিভিন্ন ধরনের শিশুখাদ্য জব্দ করেছি। এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বেশ কিছুদিন আগে এই কারখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। সেই সময় দুই লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু কারখানার মালিকপক্ষ তারপর থেকে অন্যান্য শিশুখাদ্য তৈরি করা শুরু করে। এসকল খাদ্যপণ্য সামগ্রীর অনেকটিরই বিএসটিআই এরস অনুমোদন নেই। আর যে কয়েকটি খাদ্যপণ্য সামগ্রীর অনুমোদন রয়েছে তাও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে।