ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ই পৌষ ১৪৩১

সিলেটের হরিপুরে হাফেজ খুন: নিরোর বাঁশি রফিক-লুৎফুরের হাতে

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : শুক্রবার ৮ এপ্রিল ২০২২ ০৬:০৩:০০ অপরাহ্ন | সিলেট প্রতিদিন


সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার জনশূণ্য হয়ে পড়েছে। রাত ও দিনের ২৪ ঘন্টাই যে বাজারটি লোকসমাগমে সরগরম থাকত, সেই বাজারটিতে বৃহস্পতিবার রাতে পিনপতন নিরবতা দেখা গেছে। ঘুরঘুর করতে দেখা গেছে সাদা পোশাকে আইনশৃংখলা বাহিনীর লোকজনকে । হাফিজ মাওলানা সালেহ আহমদ হত্যা মামলায় এক হাজার জনকে আসামি করে মামলা হওয়ার পর জনশূন্য হয়ে পড়ে এলাকাটি।

রোববার দিনগত রাত দেড়টা থেকে পরদিন সোমবার ৪ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান রফিক আহমদের পক্ষে হাউদপাড়া ও সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ আহমদের পক্ষে শ্যামপুর গ্রামের লোকজনের মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ থামাতে যান মাওলানা সালেহ। ইমাম ও মুরুব্বিদের একটি প্রতিনিধি দলে ছিলেন তিনি। মাওলানা সালেহ মাটিতে পড়ে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান রফিকে পক্ষ তাকে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার লুৎফুর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকের যৌথ সিদ্ধান্তে হরিপুর বাজার অস্থির হয়ে উঠে। স্থানীয় একটি ঐতিহ্যবাহী মাদরাসার আয়ের উৎস রফিক ও লুৎফুর তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্যে কয়েক মাস ধরে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছক অনুযায়ী তারা অনেকটা সফলও হয়েছেন। কিন্তু মাদরাসার আয়ের উৎসে কোনোভাবেই থাবা বসাতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত তারা লাশের পথ অনুসরণ করে। ছক অনুযায়ী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাধিয়ে লাশেরও ব্যবস্থা করে তারা। এখন এই দুই লোকাল মাফিয়া কাড়ি কাড়ি টাকা উড়াচ্ছে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে।

স্থানীয়রা বলেছেন, কোরআনে হাফিজের লাশ উপহার দিয়ে নিরোর বাঁশি হাতে তুলে নিয়েছেন রফিক ও লুৎফুর। এই অবস্থায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরণের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।