পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজধানীতে চলাচলরত ২০ বছরের পুরোনো বাস তুলে নিতে হবে। এ বিষয়ে কোনো আপস করা হবে না।
রোববার (৩১ মার্চ) বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনের কালো ধোঁয়া এবং উন্মুক্ত স্থানে নির্মাণসামগ্রী না রাখা এবং বায়োমাস বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কোনো আপস করা হবে না। ৮ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকা শহরে চলাচলকারী ২০ বছরেরও বেশি বয়সী বাসের তালিকা দেবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ। পরিবহন মালিক সমিতি ২০ এপ্রিলের মধ্যে ২০ বছরের অধিক বয়সী বাস প্রত্যাহারের পরিকল্পনা দেবে।
সাবের চৌধুরী বলেন, সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দূষণ নিয়ন্ত্রণের বাজেট বরাদ্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। তিতাস গ্যাস, বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াশা, সিটি করপোরেশন সমন্বয় করে রাস্তার খননকার্য সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে সালফারসহ ডিজেল আমদানি বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, উন্মুক্তভাবে যাতে বর্জ্য পোড়ানো না হয় সিটি করপোরেশন সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রাজউক, সিটি করপোরেশন, পুলিশ বিভাগ নির্মাণকালে নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। পুরাতন যানবাহন পুরোপুরি নিয়ম মেনে স্ক্র্যাপ করতে হবে। রাজউকের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংশ্লিষ্ট শর্ত মেনে চলতে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট নির্মাণ কার্যক্রমের অনুমতি বাতিল করতে হবে।
সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নবিরুল ইসলাম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) তপন কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আজমল উদ্দিন আহমদসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।