ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | প্রকাশের সময় : বুধবার ৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
 
 
 
৮ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে একরকম বিনাযুদ্ধে হানাদারমুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সেই থেকে প্রতিবারই জেলা প্রশাসন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
 
 
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলাকে হানাদারমুক্ত করার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ ও মিত্রবাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও উজানিসার সড়ক দিয়ে শহরের দিকে অগ্রসর হয়। এতে শহরের চারপাশে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর শক্ত অবস্থানে থাকায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। তবে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে.এম. লুৎফুর রহমানসহ কারাগারে আটকে রাখা অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে পৌর শহরের কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে পাক হানাদার বাহিনী। এছাড়া শহর ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা কলেজের হোস্টেল, অন্নদা স্কুল বোর্ডিং, বাজার ও গুদামসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরদিন ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাক বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর একরকম বিনাযুদ্ধেই মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মুক্ত ঘোষণা করেন। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জহুর আহমেদ চৌধুরী। এদিকে 
 
 
প্রতিবারের ন্যায় এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস পালনে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি পালনে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ এবং আমরা মক্তিযোদ্ধার সন্তান কমাণ্ডের উদ্যোগে স্মৃতিসৌধে ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প স্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছেন।