টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ফসলী জমির ও পর দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার আগ চিনামুড়া গ্রামের চিনামুড়া মৌজায় ফজল সিকদারের ফসলী জমির ওপর দিয়ে স্থানীয় কোরবান, হায়েত আলী ও ছামুরা এ রাস্তা নির্মাণ করেন।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকালে ওই রাস্তা নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে জমির মালিক ফজল সিকদারদের বেকুর নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এর প্রতিকার চেয়ে ফজল সিকদারের পূত্রবধু মমতা বাদি হয়ে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, আগ চিনামুড়া পাকা রাস্তা সংলগ্ন নুর হোসেনের বাড়ি হতে হারুন অর রশিদ (হরেনের) বাড়ি পর্যন্ত ফজল সিকদারের জমির ওপর দিয়ে একটি সরকারি প্রজেক্টের কাঁচা রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু হরেনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা না নিয়ে রাস্তার গতিপথ পরিবর্তন করে জোরপূর্বক ফজল সিকদারের আরও এক জমির ওপর দিয়ে কোরবানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করা হয়।
অভিযোগকারী মমতা জানান, আমার শ্বশুরের দুই দাগে ২৬ ও ৪২ শতাংশ ফসলী জমি রয়েছে। সেই জমির ওপর দিয়ে আমাদেরকে না জানিয়ে সেই জমির ফসলসহ বেকু দিয়ে মাটি কেটে চাষাবাদের অযোগ্য করে সরকারি রাস্তার বাইরে ব্যক্তি স্বার্থে জোড়পূর্বক কোরবান, হায়েত আলী ও ছামু রাস্তা নির্মাণ করে। ওই নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে গেলে আমাদেরকে বেকুর নিচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। তাদের ভয়ে ওই পরিবার আতংকিত। পরে উপায়ন্তর না দেখে ভুক্তভোগী পরিবারের মমতা সকালে কালিহাতী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অপরদিকে হারুন অর রশিদ হরেনের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা না যাওয়ায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কোরবান জানান, দুই দাগে ২৬ ও ৪২ শতাংশ জমি ফজল সিকদারের সাথে রেওয়াজ বদল করে ব্যক্তিগতভাবে নিজ অর্থায়নে আমি রাস্তা নির্মাণ করি। তাৎক্ষণিকভাবে রেওয়াজ বদলের কোন কাগজপত্র না করায় এখন তাদের জমি দাবি করে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে।
এলেঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর বাবুল জানান, পাকা রাস্তা সংলগ্ন নুর হোসেনের বাড়ি হতে হারুন অর রশিদ (হরেনের) বাড়ি পর্যন্ত একটি সরকারি প্রজেক্টের কাঁচা রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে। কোরবান আলী তার নিজস্ব অর্থায়নে তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করেছে। এটা আমার প্রজেক্টের রাস্তার অংশ না।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর-এ আলম সিদ্দিকী জানান, নুর হোসেনের বাড়ি হতে হারুন অর রশিদ (হরেনের) বাড়ি পর্যন্ত আমার প্রজেক্টের রাস্তা। কোরবানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।