ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় বিবিজান বেগম (৫০) নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে তার দুই হাত ও দুই চোখও উপড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার পোড়াহাটি কসাইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।তিনি ওই গ্রামের আনা মিয়ার স্ত্রী।
এ ঘটনায় জড়িত ইয়াদ আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে র্যাব। তবে আটককৃত ইয়াদ হোসেনের বাড়ি নড়াইল জেলায় বলে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ নিশ্চিত করেছে।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, দুপুরে ছাগলের জন্য বাড়ি থেকে একটু দূরে মেহগনি বাগানে পাতা কাটতে যান বিবি জান। সে সময় সেখানে থাকা মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি তাকে বাশের খুটি ও ইট দিয়ে মাথায় আথাত করেন।
স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বিকাল ৪টার দিকে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আটককৃত ব্যক্তি অসংলগ্ন কথা বলছেন। তাকে কিছুটা অপ্রকৃতিস্থ ও মাদকাসক্ত বলে মনে হচ্ছে। লাশ ময়নাতন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা উৎঘাটনে তদন্ত চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিবিজানকে ধর্ষণের পর হত্যা করে দু হাত ভেঙে ও দু’চোখ উপড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
চোখ উপড়ানোর বিষয়টি নিয়ে র্যাব-৬ জানায়, ময়নাতদন্ত ও মেডিকেল রিপোর্টের পরই এ বিষয়ে সঠিকভাবে বলা সম্ভব হবে।