টাঙ্গাইলের নাগরপুরে নবজাতক হত্যা মামলায় মা-মেয়েকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের উত্তরপাড়া থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে তাদেরকে টাঙ্গাইল আদালতে নেয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ওই গ্রামের ছনির মোল্লার স্ত্রী হাফিজা (৪০) ও মেয়ে সোনিয়া (১৭)।
নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারব পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোকনুজ্জামান খান জানান, ছনির মোল্লার কুমারী মেয়ে (১৮) শনিবার রাত সাড়ে দশটায় দিকে পেট ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভোর রাতে ওই মেয়েটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টয়লেটে দীর্ঘ সময় অবস্থান করে একটি কন্যা সন্তান জম্ম দেন। এ সময় হাসপাতালের অন্য রোগীরা টয়লেটে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। প্রায় দুই ঘন্টা পর মা সোনিয়া ও হাফিজা টয়লেট বের হয়ে সিটে যান। রোববার সকালে চিকিৎসক পরিদর্শন শেষে ওই মেয়েকে ছাড়পত্র দেন। সকাল নয়টার দিকে হাসপাতালের ড্রেনে নবজাতক শিশুটি দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইদ্রিছ আলী বলেন, মেয়েটির সাথে তার ফুফাতো ভাইয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তাদের মাঝে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক হয়। এর ফলে জন্ম নেওয়া শিশুটিকে হত্যা করে তারা। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেন থেকে নবজাতকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে গ্রামপুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। নবজাতকের মা সোনিয়া ও হাফিজা বেগমকে জিজ্ঞাসবাদ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেন তারা। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।