ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২রা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নরসিংদীতে শেখ হাসিনা,কাদের, আসাদুজ্জামান, হিরু সহ ৮১ জন কে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের

নাজমুল হাসান, নরসিংদী : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ২২ অগাস্ট ২০২৪ ০৯:১৬:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর

নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আজিজুল মিয়া নামে এক ডাব বিক্রেতা হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামী করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাবেক সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ ও নরসিংদী সদর আসনের এমপি নজরুল ইসলাম হিরু (বীর প্রতিক) সহ স্থানীয় আওয়ামলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ ৮১ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট নাহিদ নিয়াজী’র আদালতে মামলাটি করেন নিহতের পিতা আলমাছ মিয়া। মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত নামা আরো ৪০০ থেকে ৫০০ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। নিহত আজিজুল মিয়া সদর উপজেলার বাদুয়াচর দড়িপাড়া গ্রামের আলমাছ মিয়ার ছেলে।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম তালেব, সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি এস এম কাইয়ুম, সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, আফতাব উদ্দিন ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদ শাহজালাল আহমেদ শাওন সহ, আওয়ামীলীগের মেয়র, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৮১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই বিকেলে নরসিংদীর জেলখানার মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র  আন্দোলনে আজিজুল অবস্থান করছিলেন। এসময় ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আসামীরা ককটেল বিস্ফোরন করে তাহাদের লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে। এসময় একাধিক গুলি আজিজুলের শরীরে বিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুলাই রাত ১ টায় সে মারা যায়।

মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবি এড. কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের বাবা আলমাছ তার ছেলে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৮১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসিকে মামলাটি এফ আই আর হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন।