বেনাপোলের বিপরীতে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে অনিদিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘটের কারনে আজ সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু‘দেশের মধ্যে আমদানি- রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এর ফলে দুদেশের সীমান্তে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়ে আছে। এর মধ্যে কাঁচামালসহ বিভিন্ন রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল রয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হয়রানির প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন, বনগাঁ ট্রাক মালিক সমিতি, পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন ও বনগাঁ মহকুমা ট্রাক শ্রমিক ইউনয়নসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো।
জানা গেছে, পেট্রাপোল বন্দরের নতুন ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজার যোগদানের পর বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে কোন কথা না বলে হঠাৎ করে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে ইউনিক কার্ড ছাড়া ট্রান্সপোর্ট কর্মচারী ও ট্রাক চালকরা আইসিপি বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারছেন না। ভারতীয় পণ্য বোঝায় প্রতিটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের আগে বিএসএফ সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ধরে তল্লাশির নামে হয়রানি করছেন। নির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই প্রত্যেকটি ট্রাক এভাবে তল্লাশি করায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরের নতুন ম্যানেজার বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে কোন কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন নতুন আইন তৈরী করে বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। পরিবহন কাজে জড়িত কর্মিদের আইসিপিতে প্রবেশের মুখে বিএসএফের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। ইউনিক কার্ড ছাড়া কোন পরিবহন কর্মিকে আইসিপি ও বন্দর অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। এসব হয়রানির প্রতিবাদে প্রশাসনের সাথে বৈঠক করা হলেও ভারতের পেট্রাপোল স্থল বন্দরের ম্যানেজার তার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন। আমদানি-রফতানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। ধর্মঘট থাকায় সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার বলেন, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে বন্দরের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বন্দর ব্যবহারকারীরা আন্দোলন করছেন। তবে তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। আমদানি- রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও বন্দরে লোড আনলোড প্রক্রিয়া ও উভয় দেশের পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক গতিতে চলছে। তারা মালামাল দিলে আমরা যেকোনও সময় নিতে প্রস্তুুত আছি।