যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ঝিকরগাছার লাউজানী রেল ক্রসিংয়ে ডিভাইডার দুর্ঘটনা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী। বিশেষ করে স্থানটিতে রেলওয়ের ডিভাইডার নির্মাণের পর থেকে ত্রিমুখী সমস্যায় দুর্ঘটনার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। গত বুধবার রাতেও দুর্ঘটনায় পড়ে একটি বাস।
দুর্ঘটনা কবলিত গ্রিন লাইনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৩২০৬) মহাসড়ক দিয়ে বেনাপোলের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে লাউজানী লেভেল রেলক্রসিংয়ে পৌঁছালে প্রথম ডিভাইডার পার করে দ্বিতীয় ডিভাইডারের ওপর উঠে যায়। এ সময় পেছন থেকে আসা একটি পণ্যবাহী ট্রাক ধাক্কা দিলে বাসটি মহাসড়কেই উল্টে যায়। তবে বাসটিতে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাসটির চালক বাচ্চু ব্যাপারী বলেন, রেলক্রসিংয়ে অপরিকল্পিত ডিভাইডার দুটি নির্মাণ করায় মহাসড়কটি সরু হয়ে গেছে। এখানে সড়কটিতে আবার বাঁক রয়েছে। তার উপর রাস্তার কিছু অংশ ভাঙা। বুধবার রাতে আমি ধীরে ডিভাইডার পার হচ্ছিলাম। কিন্তু পেছন থেকে হঠাৎ ট্রাকের ধাক্কায় বাসটি ডিভাইডারে উঠে উল্টে যায়।
এলাকার লোকজন বলেন, বছর দেড়েক আগে মহাসড়কের ঝিকরগাছার লাউজানী রেল ক্রসিং এর দুই পাশে রেলওয়ে রাস্তার মাঝে বিভাজন নির্মাণ করে। এতে রাস্তা যেমন একদিকে সরু হয়ে গেছে, অপরদিকে রয়েছে রেললাইন। তা ছাড়া সড়কটিতে ওইখানে বাঁক থাকায় যান চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। এছাড়াও মোটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানবাহন প্রায় দূঘর্টনায় পড়ে। ফলে এ ডিভাইডার উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন এলাকার লোকজন।
ঝিকরগাছা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেবার সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু বলেন, ‘রেলক্রসিংয়ে বিভাজন দেওয়ার কারণে প্রতিনিয়ত এ সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। দ্রুত এর অপসারণ অথবা সড়ক অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে বিভাজনটি দেওয়ার দাবি জানাই।’
নাভারণ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর আলম বলেন, ডিভাইডারটি দেওয়ার কারণে এখানে ত্রিমুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ গত বুধবার গভীর রাতের এ ঘটনা শুনেই ঘটনাস্থলে যাই। বাসটিতে যাত্রী না থাকায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে বাসটির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঈশ^রদী রেলওয়ে অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।