দরিদ্র মানুষের জন্য চালু করা সরকারের খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল-আটা বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয় সকাল ৯ থেকে। যেসকল দোকানে বিক্রি করা হবে পণ্য, তার সামনে ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় শত শত নারী-পুরুষ। আছে শিশুরাও। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাজশাহী মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভা সদরে দেখা গেল এমন দৃশ্য।
ওএমএস নিতে অাসা কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ অনেক কম। কেশরহাট পৌরসভায় ডিলার রয়েছে তিনজন। তাই পণ্য পাওয়া নিশ্চিত করতে এত সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। শেষ পযন্ত কেউ পান, কেউ পান না। কেশরহাট পৌরসভার তিনটি স্থানে ওএমএসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চলছে। তবে দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও থেকে পণ্য কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অধিকাংশ ক্রেতা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কেশরহাট পৌরসভার ডিলার কেন্দ্রে দেখা গেছে, ওএমএসের কেন্দ্রগুলোতে কর্মহীন মানুষের উপচে পড়া ভিড়। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও দুপুরে খালি হাতে ফিরছেন কেউ কেউ। উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে চাল ও ৩২-৩৫ টাকা করে আটা বিক্রি হচ্ছে। এমনিতেই পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। এ অবস্থায় ৩০ টাকা কেজির চাল ও ১৮ টাকা দরের আটা পেতে লাইন ধরেছেন তাঁরা। কেশরহাট পৌর এলাকার ওএমএস ডিলার মো. কামরুজ্জামান বুলু, মো. ইকবাল হোসেন ও মো. মহাসিন অালী জানান, চাহিদা খুব বেশি। বিক্রি শুরুর কয়েক ঘণ্টায়ই চাল-আটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিন ডিলারের মাধ্যমে তিন টন চাল ও তিন টন অাটা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে চালের চেয়ে অাটার চাহিদা বেশি।
মোহনপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বলেন, সপ্তাহে ছয়দিন তিন ডিলারের মাধ্যমে তিন টন চাল ও তিন টন আটা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে বরাদ্দের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি।