২০১৫ সালে এমবিবিএস পড়ার সময় বিয়ে করে এখনো পর্যন্ত বিয়ের স্বীকৃতি পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন ডা. আয়েশা সিদ্দিকা। তাঁর বাড়ি বরিশাল জেলার সদর উপজেলায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ঢাকায় ২০১৫ সালে এমবিবিএস পড়ার সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আব্দুল বাসেদের ছেলে বাবলুর রশিদকে পছন্দ করেন। ২০১৬ সালে ঢাকা জজকোর্টে ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ঢাকায় তিন বছর ও ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারপাড়া এলাকায় আরও দুই বছর সংসার করেন তাঁরা।
লিখিত বক্তব্যে ওই গৃহবধূ আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে থাকাকালীন আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ার কারণে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কারণে-অকারণে টাকার জন্য আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে এই খবর জানালে তারাও আমার ওপর চড়াও হয় এবং টাকা ও আমার মা-বাবাকে ধর্ম ত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। উপায় না পেয়ে আমি আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করি। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বর্তমানে আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যাওয়াসহ মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি প্রদান করছে। ধর্ম ত্যাগ করার কারণে পিত্রালয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এদিকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও বাড়ির বধূ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।’
সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের মাধ্যমে ডা. আয়েশা সিদ্দিকা প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে চিকিৎসক গৃহবধূর স্বামী বাবলুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
গৃহবধূর শ্বশুর আব্দুল বাসেদ সাংবাদিকদের জানান, ‘মেয়েটি ধর্ম ত্যাগ করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমরা মেনেও নিয়েছিলাম। পরে মেয়েটি পুনরায় নিজ জেলায় গিয়ে বিয়ে করেছে এমন খবর আমরা পেয়েছি। তা ছাড়া মামলা-মোকদ্দমায় জড়ানোর কারণে আমার ছেলে তার সঙ্গে সংসার করতে চায় না। তারা দুজনে সংসার করলে আমার কোনো আপত্তি নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।