খুলনায় জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠক তানজিল মাহমুদ বলেন, আমরা কোনা গণহত্যাকারীকে সুযোগ দিতে চাই না। বিচার করবো, নির্বাচন করবো এসব মিথ্যা কথা আমরা শুনতে চাইনা। আগে চাই সংস্কার, তারপর নির্বাচন। আগে নির্বাচন দিয়ে তারপর সংস্কার আমরা চাই না। বাংলাদেশে নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার থাকবে এবং সরকারকে জনগণের কাছে আসতে হবে। জনগণ আর কারো কাছে যেতে পারবে না, জনগণ কারো কাছে মাথানত করবে না। আমাদের প্রশাসন, সরকার সব হবে জনগণের জন্য। জনগণই হবে সব ক্ষমতার উৎস।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জুলাই ঘোষণাপত্রের গুরুত্বসহ সাত দফা দাবি সংবলিত লিফলেট বিতরণ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি খুলনার নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর পিটিআই মসজিদের প্রাঙ্গণে লিফলেট বিতরণ এবং বিকেলে ময়লাাপোতায় মিছিল ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
লিফলেটে উল্লেখিত নাগরিক কমিটির দাবিগুলো হচ্ছে- জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি এবং আহতদের বিনামূল্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে সুচিকিৎসা প্রদান, আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন, ঘোষণাপত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
এছাড়া সব ধরনের বৈষম্য নিরসনে নাগরিক পরিচয় প্রধান করে রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কার করতে হবে।
লিফলেটে বলা হয়, ঘোষণাপত্রই হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতার উৎস এবং পরবর্তী সংবিধানের ভিত্তিমূল। কর্মসূচিতে নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সংগঠকরা স্থানীয় মানুষদের সাথে মতবিনিময় করেন ও তাদের মাঝে জুলাই-এর ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
মিছিল ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সংগঠক তানজিল মাহমুদ ও নাঈম আহমেদ, স্থানীয় প্রতিনিধি আহমেদ হামীম রাহাত, ফরিদ পাঠান, এম সাইফুল ইসলাম, শরীফ আসাফুল হাবীব সাজিদ, ইকবাল হোসেন মোল্লা, মুহাম্মদ নুরুজ্জামান, সামসুন্নাহার, হাফসা আক্তার, মেনান মুসফিক উপস্থিত ছিলেন।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ