ঢাকা, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কাউনিয়ায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় মানুষের ঘরবাড়ীতে পানি

সাইদুল ইসলাম, কাউনিয়া (রংপুর) : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১০:১৭:০০ অপরাহ্ন | রংপুর
বৃষ্টিপাত আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা  নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কাউনিয়ার নিন্ম অঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচশো পরিবার। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার নদীর ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের  মানুষ। 
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে পানি বৃদ্ধি পেয়ে  ঢুষমারা,তালুক শাহবাজ,পূর্ব নিজপাড়ার অংশ ,গোপীডাঙ্গা,আরাজি হরিশ্বর, চর প্রাননাথ,শনশনিয়া,চর হয়বতখাঁ, চর গনাই, আজমখাঁর চর ও নতুন করে চর নাজিরদহ ও নাজিরদহ গ্রামের নিম্ন এলাকায় পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বন্দী হয়েছে পড়েছে প্রায় পাঁচশো পরিবার। এছাড়াও উঠতি আমন ধানের খেত বীজ বাদাম খেত,সবজি খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রায় শতাধিক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে গেছে। পানি বৃদ্ধি পেলে আরো নতুন নতুন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে করে  তিস্তা ব্যারেজের ভাটিতে অবস্থিত কাউনিয়ার তিস্তা তীরবর্তী চরাঞ্চল এলাকার বাসিন্দারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। 
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে পাহাড়ী ঢলের পানি আসায় ডালিয়া ব্যারেজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।  একারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। 
বালাপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ আনছার আলী বলেন, তার এলাকায় কয়েক টি গ্রামের নিস্ন অঞ্চলে  পানি উঠতে শুরু করেছে এবং নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধি পেয়েছে। 
উপজেলা কৃষি অফিসার আবু মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন অতিবৃষ্টিতে রোপা আমন ৭০ হেক্টর ও সবজি ফসল ২ হেক্টর আক্রান্ত হয়েছে। তবে কৃষকের ভাষ্যমতে আক্রান্ত ফসলের খেতের সংখ্যা অনেক বেশি। 
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আহসান হাবীব বলেন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পানি প্রবেশ করে পাঁচ শতাধিক পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার ভাঙনে ৯ টি পরিবারের ভিটামাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ পরিবার গুলো কে তাৎক্ষণিক ভাবে শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে।  উপজেলা প্রশাসন ও ত্রাণ বিভাগ বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। 
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিদুল হক  বলেন আমি বন্যা কবলিত টেপামধুপুর ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ত্রাণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা সব বন্যাকবলিত এলাকার সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। 
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, কাউনিয়ার তিস্তা রেল সেতু পয়েন্টে রবিবার দুপুরে  তিস্তার পানি ২৯.৬৩সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।