ঢাকা, শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১লা অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কালীগঞ্জে রিমন হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নামে মামলা

মোঃ রায়হান মাহামুদ, কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩১ অগাস্ট ২০২৪ ০৪:২৪:০০ অপরাহ্ন | দেশের খবর
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অবশেষে ৬ জনের নামে থানায় মামলা। ষড়যন্ত্র মূলক মামলা থেকে মুক্তি পেল ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেন। রিমন উপজেলার ভাদগাতী গ্রামের মোসলেহ উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে। 
 
জানা যায়, রবিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে কালীগঞ্জের সাবেক এমপি মো. মোখলেছুর রহমান জিতু মিয়ার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান ফয়সাল হত্যা মামলার প্রধান আসামী দুর্ধর্ষ  সন্ত্রাসী মো. তৌহিদুল ইসলাম রিমনকে হত্যা করা হয়। সোমবার বাদ মাগরীব জানাযার নামাজ শেষে দাফন করা হয়।
 
 অন্যদিকে রিমন হত্যার পর একটি কুচক্রী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নিহত রিমন এর স্ত্রী রুমা আক্তারকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূল বুঝিয়ে ঘটনায় জড়িত মো. সাত্তার (৩৫), মো. আল আমিন (৩৮), মো. মাসুদ (৪০), মো. আরিফুল (৩৫), আলী হোসেন (৩৫), রকমত উল্লাহ্ (২৬) এর সাথে ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেনের নাম যুক্ত করে থানায় অভিযোগ করেন। এবং সংবাদ পরিবেশনের জন্য স্থাণীয় সাংবাদিকদের অভিযোগের কপি দেন।
 
অভিযোগে উল্লেখিত ৭নং আসামী নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ থানাধীন কলিঙ্গা গ্রামের মো. ফেকুন মিয়ার ছেলে মো. মোশারফ হোসেন অন্য জেলা ও থানার বাসিন্ধা হওয়ায় সবার মনে সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে মো. মোশারফ হোসেন রিমন হত্যায় জড়িত থাকার সত্যতা না পাওয়ায় এজাহার থেকে তার নাম বাদ দিয়ে বাকী ৬ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় ১০(৮)২৪ নং মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
 
 ধারণা করা হচ্ছে রুপগঞ্জ থানার ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেনের সাথে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে চক্রটি তাকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে বা আর্থিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে রিমন হত্যা মামলায় তাকে আসামী করার অপচেষ্টা চালায়। 
 
এ বিষয়ে মামলার বাদী রুমা আক্তার বলেন, আমার স্বামী রিমন কালীগঞ্জ থেকে বাড়ীতে আসার পথে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রতিবেশী সাত্তার ও আল-আমিন অন্যান্যদের নিয়ে তাকে আটক করে তার হাত পা বেধে কুপিয়ে হত্যা করে। ঐ সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না। পরবর্তীতে আসামীদের তথ্য সংগ্রহ করার সময় ভূলবশত মোশারফ হোসেনের নাম চলে আসে। পরে খবর নিয়ে দেখি তিনি আমার স্বামী রিমন হত্যার সাথে কোন ভাবে জড়িত নয়। বিধায় রুপগঞ্জ থানার কলিঙ্গা গ্রামের মো. ফেকুন মিয়ার ছেলে মো. মোশারফ হোসেনের নাম বাদ দিয়ে হত্যায় জড়িত ৬ জনের নামে থানায় মামলা করেছি। ব্যবসায়ী মো. মোশারফ হোসেনের নামে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের ও স্থাণীয় সাংবাদিকদের ভূল তথ্য (অভিযোগের কপি) দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।