প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেট। অনিন্দ্য সুন্দরের এই ভূমি বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকে। ঈদ, পূজা বা অন্যান্য সময় ছুটি পেলেই পর্যটকরা ছুটে আসেন সিলেটে। এবার পূজার ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটিতেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। ইতোমধ্যে সিলেট নগরের প্রায় সবকটি হোটেল পর্যটকে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। টানা কয়েকদিনের ছুটিতে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা।
পাহাড়ের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, চা বাগানের সবুজ প্রকৃতি, টিলার ফাঁকে ফাঁকে আঁকাবাঁকা রাস্তা, জাফলং, ভোলাগঞ্জ ও বিছনাকান্দির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সরেজমিনে দুপুর ১টার দিকে রাতারগুল জলাবনের মাঝোরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ পর্যটক ঘাটে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সময় সারি সারি নৌকায় মানুষজনকে রাতারগুলের গহীন অরণ্যের দিকে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
স্থানীয় মাঝি সোনা মিয়া বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ১২৬টি নৌকায় মানুষজন ঘুরতে বনের দিকে গিয়েছেন। এসব নৌকায় গড়ে তিনজন করে গেছেন।
ফেনী থেকে রাতারগুলে ঘুরতে আসা বিজয় বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে তিন দিনের জন্য সিলেট ঘুরতে এসেছি। এতদিন রাতারগুলের নাম শুনেছি। আজ নিজ চোখে এর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করবো। সত্যিই এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। আশা করি আমার মতো আমার পরিবারের বাকি সদস্যদেরও ভালো লাগবে।
সিলেট দরগাহ গেটের হোটেল হলি গেটের বুকিং ম্যানেজার অজয় সিংহ বলেন, আমাদের হোটেলের সবগুলো কক্ষই আগামী তিন-চার দিন বুকিং থাকবে। পূজার ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পর্যটক বেড়েছে।
সিলেটের ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেলার্স অব সিলেটের অ্যাডমিন শফি মোহাম্মদ বলেন, ছুটির এই কয়েকদিনে সাদাপাথর,জাফলং ও বিছানাকান্দিতে অন্তত লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে। ইতোমধ্যে অনেকেই সিলেটে এসে অবস্থান করছেন এবং আগামীকাল শুক্রবার এই সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়বে।
সিলেটে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে সিলেট ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার(এসপি) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, আমরা সবসময় ট্যুরিস্টদের সেবাদানে প্রস্তুত। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করি। আগামী কয়েকদিনে সিলেটে পর্যটকদের নিরাপত্তার কোনো কমতি থাকবে না।