বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক সদস্য ম. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ছাত্রনেতা থেকে জননেতা এমপি আব্দুল মান্নান ছিলেন গনমানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি ছিলেন সবসময় অবিচল। আজীবন তার প্রতি জনগণের দেয়া দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করে গেছেন। চরম দুঃসময়ে তিনি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তিনি রাজনীতি করে অনেক প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষ ও মেধাবী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার পরামর্শে এবং সহযোগিতায় তিনি ছাত্রলীগকে কঠিন সময়ে নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠিত করেছিলেন। কোন বিপর্যয় ও কষাঘাতে কখনো মাথানত করেননি বলেই তিনি রাজনীতিতে সঠিক স্থান করে নিয়েছিলেন। দেশের কৃষি ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন, কৃষক ও দেশের জন্য কাজ করেছেন। তার প্রচেষ্টায় সোনাতলা-সারিয়াকান্দির চেহারা পাল্টে গেছে। ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে জননেতা আব্দুল মান্নানের নাম লেখা থাকবে। তার অভাব কোনদিন পূরণ হবে না। এ ধরনের ত্যাগী নেতার মৃত্যুতে শুধু দল নয়, দেশেরও ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ৭৫ পরবর্তী কঠিন সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম, ত্যাগ ও কষ্টে করে যাওয়া প্রয়াত জননেতা আব্দুল মান্নানকে জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নানের ২য় মৃত্যুবার্ষিকীতে মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজের পাশে মরহুমের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন, জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল শেষে কথাগুলো বলেন। স্বেচ্ছাসেবকলীগের উদ্যোগে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন কর্মসূচীতে এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম মন্টু, সারিয়াকান্দি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুজ্জামান স্বপন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক কে এম মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জি: কোবাদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মেহেদী হাসান রবিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আহসান হাবিব বাধন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম, সুলতান মন্ডল সজল, নাসিমুল বারী নাসিম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সজল শেখ, রাশেদুজ্জামান রাশেদ, এবিএস সবুজ, সাবেক ছাত্রনেতা রাশেদুল ইসলাম মুনু, মেহেদী হাসান লিমন, ছাত্রনেতা তোহা, মুকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান পান্না, আতিক, সাব্বির প্রমুখ।