অবশেষে প্রায় চার মাস চিকিৎসা সেবা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য করে অবমুক্ত করা হলো রাজবাড়ীর আরাম ঘরে স্থান পাওয়া সেই আহত ঈগল পাখিটিকে।
মঙ্গলবার ১৫ অক্টোবর) বিকেলে রাজবাড়ীর টিএন্ডটি পাড়া এলাকায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরাম ঘর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাখিটিকে অবমুক্ত করা হয়।
এ সময় রাজবাড়ী জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রুবাইয়াত মোহাম্মদ ফেরদৌস, রাজবাড়ীর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ হুমায়ুন কবির, রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা খায়ের উদ্দিন আহম্মেদ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরাম ঘরের প্রতিষ্ঠাতা লিটন চক্রবর্তীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর এলাকায় এই ঈগল পাখিটিকে আটক করে কয়েকজন কিশোর। এ সময় আক্রমন থেকে বাচতে আঘাত করলে ঈগলটির একটি ডানা ভেঙ্গে যায়। বন বিভাগের সহযোগিতায় পাখিটিকে উদ্ধার করে উপজেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা খায়ের উদ্দিনের মহানুভবতায় চিকিৎসা দিয়ে দেখভালের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আরাম ঘর’কে।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আরাম ঘরের প্রতিষ্ঠাতা লিটন চক্রবর্তী বলেন, এক সময় গ্রাম অঞ্চলে প্রচুর পরিমানে ঈগল, শকুন, চিল, বকসহ নানা প্রজাতির পাখি দেখা যেত। বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় এখন আর এসকল পাখি দেখা যায় না। এতে পরিবেশ তার ভারসাম্য হারাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেশি বেশি করে গাছ রোপনের মাধ্যমে আবার পাখিদের অভয়াশ্রম তৈরি করা যায়।
রাজবাড়ীর সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ হুমায়ুন কবির বলেন, প্রায় চার মাস সেবা দেওয়ার পর পাখিটি তার আপন ঠিকানায় উড়ে গেল।