শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে আচার্য সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেন, একজন উপাচার্যকে আচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাই তার বিষয়ে আচার্য সিদ্ধান্ত নেবেন। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রায় সোয়া তিন ঘণ্টা বৈঠকের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাংবাদিকদের শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
দীপু মনি বলেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জেনেছি। তাদের অনেকগুলো দাবি ছিল। যেগুলো ইতোমধ্যে পূরণ হয়ে গেছে।
উপাচার্য অপসারণের ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়টি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে অবহিত করবো। আচার্য যেহেতু একজন উপাচার্যকে নিয়োগ দেন কিংবা অপসারণ করেন সেহেতু আমরা বিষয়টি আচার্যকে অবহিত করবো। সে বিষয় তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে বিকেল ৩টার দিকে সিলেট সার্কিট হাউজে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদলের ১১ সদস্য মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান নওফেল।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন- মুহাইমিনুল বাশার রাজ (ফিজিক্স), ইয়াসির সরকার (ফিজিক্স), নাফিসা আনজুম (লোকপ্রশাসন), সাব্বির আহমেদ (লোকপ্রাশাসন), আশিক হোসাইন মারুফ (ওশেনোগ্রাফি), সাবরিনা শাহরিন রশীদ (ফিজিক্স), সুদীপ্ত ভাস্কর (ফিজিক্স), শাহরিয়ার আবেদীন (ফিজিক্স), আমেনা বেগম (সিভিল), মীর রানা (অর্থনীতি) ও জাহিদুল ইসলাম অপূর্ব।