যশোরের শার্শার পল্লীতে সন্ত্রাসী ভাড়া করে মহিউদ্দিন নামের এক অসহায় ব্যক্তির পৈত্রিক ভিটার ৩ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি গাছ জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মহিউদ্দিন।
শুক্রবার (২০) জানুয়ারি বিকালে উপজেলার গোগা গ্রামে মহিউদ্দিনের পৈতৃক ভিটার এ গাছ কেটে নেয় গোগা ইউনিয়নের অগ্রভুলোট গ্রামের রমজান আলীর ছেলে হবিবার ও মাহবুব আলীর ছেলে আরিফুর রহমান। তবে এই গাছ কাটার সাথে মহিউদ্দিনের ভাই মাসুম বিল্লাহও জড়িত এমনটিও অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগির।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তিন লাখ টাকা মুল্যের ৬টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তবে এর একটি গাছের গুড়ি ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে।
ভুক্তভোগি মহিউদ্দিন বলেন, তার ভাই মাসুম বিল্লাহ তার শরীকের অংশ আগে থেকেই বিক্রি করেছে। সে এখন পৈত্রিক ভিটার ওই গাছের কোন অংশের দাবিদার নয়। হঠাৎ করে ১৫ থেকে ১৬ জন লোক তাদের ভিটা বাড়ির সকল গাছ কাটতে আসলে বাঁধা দেওয়া হয়। এসময় ছোট ভাই মাসুমের কাছ থেকে গাছ কিনেছে জানিয়ে বাধা উপেক্ষা করে ৬টি বড় গাছ তারা কেটে নেয়। গ্রাম্য শালিশে গাছ কাটতে নিষেধ করলেও সন্ত্রাসী বাহিনী কেউ শোনেনি। পরে ন্যায় বিচার পেতে শার্শা থানায় তার ভাই মাসুম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীদের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী।
এদিকে গাছ কাটার সাথে জড়িত মাসুম বিল্লাহর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারেননি।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পারিবারিক ভাবে মিমাংশা করতে বলা হয়েছে। যদি সেটা না হয় তবে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।