হবিগঞ্জ শহরের নতুন পৌরসভা সড়কে অবস্থিত মাদার কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় শহীদুল ইসলাম (২৫) নামের এক কলেজছাত্র এখন মৃত্যুপথযাত্রী- এমন অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোমবার (১১ মার্চ) ওই হাসপাতালে রোগীর অভিভাবকদের সাথে হট্টগোলসহ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার জলসুখা গ্রামের মইনুল ইসলাম খানের ছেলে আজমিরীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র শহীদুল ইসলাম অ্যাপেন্ডিসাইটিস ব্যথা নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় শহরের মাদার কেয়ারে ভর্তি হন। ওই দিন রাত ১১টার সময় হাসপাতালের ডাক্তার শাহ রেজাউল করিম অপারেশন করার সময় শহীদুলের খাদ্যনালি কেটে ফেলেন। এরপরই রক্তক্ষরণ শুরু হলে সে অচেতন হয়ে পড়ে। পরের দিন তার চেতনা ফিরে এলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি। এতে স্বজনরা উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন তাই করা হবে বলে রোগীর স্বজনদের আশ্বস্থ করেন। এ খবর শহরজুড়ে চাউর হলে রোগীদের মাঝে আতংক দেখা দেয়।
এদিকে, বর্তমানে শহীদুলের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে সিলেট রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সোমবার এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে রোগীর স্বজনদের বাকবিতন্ডা ও হট্টগোলও হয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথার অপারেশন করতে গিয়ে ওই ডাক্তার শহীদুলের খাদ্যনালী কেটে ফেলায় তার অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। তারা হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।
এ বিষয়ে ডাক্তার রেজাউল করিম ও হাসপাতালের এমডি আপন আহমেদ জানান, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ব্যথার অপারেশন করতে গিয়ে খাদ্যনালীতে ইনফেকশন পাওয়া যায়। অভিভাবকদের সম্মতিতেই অপারেশন করা হয়েছে। তারপরও ওই রোগীর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়ে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে।