চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্রয়ে লক্ষ্য মাত্রা হরিপুর উপজেলায় ৯১৪ টন নিধারিত থাকলেও, হরিপুর খাদ্যগুদামে ৪০৯ মেঃ টন বরাদ্দ এর মধ্যে এক মেঃ টন ধান সংগ্রহ হয়নি। যাদুরানী খাদ্যগুদামে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪৫০ মেঃ টন তার মধ্যে ১৫ মেঃ টন ধান সংগ্রহ করা হয়। চাল ক্রয়ের বরাদ্দ ছিল ৭৮০ মেঃ টন। হরিপুর খাদ্যগুদামে আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ শেষ। যাদুরানী খাদ্যগুদামে চাল ক্রয়ের বরাদ্দ ছিল, ৩৩৪ মেঃ টন ৪১০ কেজি এর মধ্যে চাল ৩৫ মেঃ টন ৪৬০ কেজি বাকি আছে।
চাল ক্রয়ের বরাদ্দের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ হলেও ধান সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
খোলা বাজারে সরকার নিধারিত মূল্যের চেয়ে কিছুটা কম হলেও, কৃষক খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয়ে আগ্রহী নয়।
কৃষক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে আমরা যে দাম পাই, খাদ্য গুদামে সমমূল্য পেতে হলে আমাদেরকে ধান আরো শুকনোর প্রয়োজন পরবে । তার চেয়ে খোলা বাজারে ধান বিক্রয় করে লাভবান হচ্ছি। এদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ধান মজুদ করে রেখে দেওয়ার ফলে চালের বর্তমানে বাজারে অস্থিতিশীল ।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র কে চালের বাজার অস্থিতিশীল ও ধান সংগ্রহের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান,
উপজেলায় যে সব ধান ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত ধান মজুদ করে রেখেছে, তাদের গোডাউন যাচাই করে দেখা হচ্ছে। যদি আমরা সেরকম কিছু পাই, সেই মোতাবেক আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু চলতি মাসে ২৮ শে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহের এখন সময় আছে ।